সংবাদ শিরোনামঃ
উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ না নিতে এমপি আনোয়ার খাঁনকে চিঠি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লবের কিছু কথা লক্ষ্মীপুরের কৃতিসন্তান আনোয়ারুল হক ছলেমা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামাল ফার্মারের  জন্মদিনে তিনি সকলের আশির্বাদ /দোয়া প্রার্থী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউপি নির্বাচনে মীর শাহআলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে এডভোকেট নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত অনিয়মে চাকরিচ্যুত হবেন কর্মকর্তারা, ফেক্ট- উপজেলা পরিষদ নির্বাচন লক্ষ্মীপুরে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার নিয়ে বির্তক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর -১ আসনের ড, আনোয়ার খান এম পির বড় ভাই আখতার খান রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী
নতুন শঙ্কায় দেশ করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময় হয়নি ॥ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা

নতুন শঙ্কায় দেশ করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময় হয়নি ॥ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগামী চলছে। গত চার দিন ধরে দৈনিক এক হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গতকাল রোববার করোনাতে শনাক্তের হার প্রায় সাত শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল পাঁচ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য  অধিদফতর। করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে দেশে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে সংক্রমণ ফের বাড়তে পারে।

এ অবস্থায় করোনা প্রতিরোধে সরকার যে বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করছে, সেটা তেমন কোনো সুফল দেবে না বলে মনে করছেন অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা। লকডাউনের মতো আত্মঘাতী বিধিনিষেধ আরোপের সময় এখনও হয়নি বলে জানান তারা। তাদের মতে, করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। এ সময় মাস্ক পরা জরুরি, কিন্তু সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর মানুষের মধ্যে মাস্ক পরায় অনীহা দেখা গেছে। তাই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে করোনা সংক্রমণ যে হারে হচ্ছে, তাতে এখনই লকডাউনের মতো আত্মঘাতী কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয়নি। দুই বছর পর মাত্র অর্থনীতি সচল হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে আবার করোনা বাড়ছে। তাই অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। যদি আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে তখন বিচার বিশ্লেষণ করে বিচক্ষণতার সাথে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে সরকার যে বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করছে, সেটা তেমন কোনো সুফল দেবে না। করোনা রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিধিনিষেধে সামাজিক অনুষ্ঠান সীমিত করা, খাবারের হোটেল ও মার্কেট-শপিংমলের সময় কমিয়ে কখনো করোনা রোধ করা যাবে না। হয় একেবারে বন্ধ করে দিতে হবে নয়তো যেভাবে আছে সেভাবেই চলতে দিতে হবে। কারণ সময় কমিয়ে আনলে একসাথে অনেক চাপ পড়ে যায়। তখন বরং করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে বেশি। আর করোনা আক্রান্তের ফলে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, এমন যদি হতো তাহলে সময় কমিয়ে আনাটা একটা যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতো। কিন্তু সেটা তো হচ্ছে না। আমরা আমাদের দেশে যেভাবে থাকি তাতে সংক্রমণ হবেই, সেটা ঠেকানো সম্ভব না। একটি পাবলিক বাসে উঠলে সকলেই ঝুঁকিতে থাকে। মূলত আমরা সবাই যখন আক্রান্ত হবো তারপর এমনিতেই চলে যাবে করোনা।
লকডাউনের সময় হয়নি উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, কোনো লকডাউনে আমরা কোনো সুফল পাইনি। মানুষ লকডাউন মানে না, প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে। এখন ওমিক্রন যেভাবে ছড়াচ্ছে সেটার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো আক্রান্তদের কীভাবে হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। এছাড়া মানুষের মৃত্যুর হার কীরকম হচ্ছে, সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া। সেটা না দেখে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা যৌক্তিক হবে না। আর লকডাউনে অর্থনৈতিক ক্ষতি বেশি হয়। তাহলে সে ক্ষতি আমরা কেন ইচ্ছা করে ডেকে নিয়ে আসবো? সে জন্য দেখতে হবে সংক্রমণের হার কীরকম, সেটা না দেখে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা ঠিক হবে না।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com