ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
একটি নির্যাতিতা নিষ্পাপ মেয়ের আত্ম চিৎকারে
আকাশ বাতাস আজ ভারি হয়ে গেছে।
তাতে পাষণ্ড স্বামী তনয়ের হৃদয় একটুও ঘামেনি। যেখানে বিবাহের মেহেদির রং এখনো শুকায়নি।
আরিফ ও আফরিন তাদের
নিষ্ঠুর বলির স্বীকার আজ হোসনেয়ারা বেগম মেঘলা।
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ অঙ্গনে আর কখনও
ফিরে আসবে কি শিক্ষার্থী মেঘলা ?
কি ছিলো তার অপরাধ?
১২ অক্টোবর স্বশুর বাড়িতে স্বামীর
নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনে আজ ভারসাম্যহীন নববধূ মেঘলা।
বর্তমানে গরিব পিতার বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে নববধূ মেঘলা, কি নির্মম পরিহাস লম্পট স্বামীর বাড়ীর কেহ একটি বারের জন্যও মেঘলা কে দেখতে আসেনি।
পারিবারিকভাবে গত ৪ অক্টোবর বিবাহ হয লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নববধূ হোসনেয়েরা মেঘলার।
একই কলেজের শিক্ষক আরিফুর রহমানের কাছে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ও উনার স্ত্রী চন্দ্রগঞ্জস্হ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষিকা আফরিন সুলতানার নিকট হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাইভেট পড়তেন শির্ক্ষাথী মেঘলা।
এভাবে আরিফুরের স্ত্রীও মেঘলাকে খুব পছন্দ করে উনার ভাই তনয়ের বউ করার জন্য। এতে করে উভয় পরিবারের আলাপ আলোচনা ও সম্মতিতে ৪ অক্টোবর আরাফাত ইবনে ইসলাম তনয় ও হোসনেআরা বেগম মেঘলার বিবাহ সম্পন্ন হয়। গত
২০ অক্টোবর ধুমধামে অনুষ্ঠান করে নিয়ে মেঘলাকে তার স্বামীর বাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকার পরেও কৃপণ ছেলের মা বাবা অনুষ্ঠান না করে ৭ অক্টোবর তারিখে মেঘলাকে তার স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যায়।
মেঘলার স্বামী তনয় ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে এসে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরেরদিন ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে মেঘলা কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। সকাল বেলায় মেঘলার বাবাকে খবর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে মেঘলার বাবা মেয়ের আত্মচিৎকার শুনে মেয়েকে হাসপাতলে নিয়ে যান। পরে মেঘলার শারীরিক অবস্হার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুব্রত দাসের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। ২৫ অক্টোবর রবিবার পর্যন্ত আরিফুর এবং আরিফুর স্ত্রী আফরিন ও শ্বশুর- শাশুড়ি, মেঘলার পাষন্ড স্বামী তনয়ের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের জেবি রোডস্থ ন্যাশনল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্রাবাসের পাশ্বে তাদের বসত বাড়িতে তালা ঝুলানো অবস্থা। প্রতিবেশী দের থেকে জানাযায় ১২ অক্টোবর থেকে আজ ২৬ অক্টোবর বাড়িতে তালা ঝুলানো দেখা যায়। তাদের মোবাইল ফোন অফ করে তারা আত্মগোপনে আছে।
এদিকে নির্যাতিতা কন্যা মেঘলার পিতা নুরুলইসলাম এ ঘটনার তীব্র নিন্দা – প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দেশবাসী কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চান।
এ ব্যাপার ‘অভিযুক্ত’ তনয় ও তার বোন এবং পিতার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করার পরেও কেহ রিসিভ না করাতে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় না।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল বাশারের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে নির্যাতিতা নববধূ মেঘলার পিতার একটি অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনার আইন গত তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।