ভিবি নিউজ ডেস্ক: ২৭ মে ২০২১ ইং রোজ বৃহষ্পতিবার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানাধীন পূর্ব চন্ডীপুর বড়ঠাকুর বাড়ী বিমলেন্দু চক্রবর্তীর(৭০) অপমৃত্যু মামলার ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন লক্ষ্মীপুর জেলার চৌকস পুলিশ সুপার ড, এএইচএম কামারুজ্জামান। এসময়ে সংগে ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, রামগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস। সরজমিন পরিদর্শন আন্তে তদন্তকারী অফিসারকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন অত্র জেলার পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
উল্লেখ্য লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ১৪ মে শুক্রবার দুপুরে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত বিমেলেন্দু চক্রবর্তী ওরফে মন্টু (৬৫) উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্হ পূর্ব চন্ডীপুর গ্রামের ঠাকুর বাড়ীর নরেন্দ্র চক্রবর্তীর ছেলে।
রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, খবর পেয়ে বাড়ীর ঘরের পাশে গাছের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় বিমেলেন্দু চক্রবর্তী মন্টুর লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তিতে নিহত ব্যক্তির লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে
লক্ষ্মীপুর মহা শষানে দাহ করা হয় বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে ফেসবুকে গলায় ফাঁস লাগানো মন্টু চক্রবর্তীর লাস ঝুলে না থাকায় কমেন্ট বস্কে আত্মহত্যার পরিবর্তে হত্যা বলে জনগণ মতামত প্রকাশ করছে বলে বিভিন্ন ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একাউন্ট হতে জানা যায়। যাহা ঝুলানো ছবি থেকে প্রতিয়মান।
আরো জানাযায় মন্টু চক্রবর্তী প্রায় ১২ একর দেবত্তর সম্পত্তি নিয়ে আদালতে বিভিন্ন সময়ে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি বর্গের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করে আসছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর আদালতের সিনিয়র আইনজীবী (মামলা পরিচালনা কারি) শ্যামল কান্তি চক্রবর্তী।
এই বিষয়ে ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলার সভাপতি শিমূল সাহা বলেন নিহত মিন্টু চক্রবর্তীর লাস ময়নাতদন্ত শেষে লক্ষ্মীপুর মহা শষানে দাহ করা হয়। তিনি আরো বলেন, দাহ কার্যাদি সমাপন পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন পৌর কমিশনার উত্তম দত্ত,মহাশষানের কেশিয়ার প্রদীপ কুরি সহ ঐক্য পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিশেষে ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমূল সাহা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মৃত ব্যাক্তি মিন্টু চক্রবর্তীর মৃত্যুর কারন উদঘাটন করে যথাযথা পদক্ষেপ গ্রহন করিতে সংগঠনের পক্ষথেকে তিনি জোর দাবী জানান।