ভিবি নিউজ ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়ন এলাকায় বাপের বাড়ী থেকে যৌতুক এনে না দেয়ায় এক গৃহবধূকে মারধর করে স্বামী ও খালা শ্বাশুরী মিলে জোরপূর্বক তিনশত টাকার খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ভুক্তভুগি গৃহবধূ ফাইমা (২০) বেগম ২ জুন বুধবার তার স্বামী মো: কামরুল ইসলাম, খালা শ্বাশুরী জেসমিন আক্তার ও নানী শ্বাশুরী দাগনী বেগমকে বিবাদী করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
থানার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামের রহিম বক্স মিজি বাড়ীর নজির আহম্মদ পুত্র কামরুলের সাথে দুই বছর পূর্বে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্যে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিশা এলাকার উল্যাপাড়া মজুমদার বাড়ীর মোঃ ইসমাইল হোসেনের কন্যা ফাইমা বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের জন্য বিবাদীরা লাগাতার চাপ দিয়ে নানানসময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। গত ৩০ এপ্রিল বাদীর পিতার বাড়ীতে স্বামী যৌতুকের জন্য চাপাচাপি এলোপাথাড়ি মারধর করলে ভুক্তভুগির গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়।
তাছাড়া গত ২৪মে সকাল ১১ ঘটিকায় যৌতুকের জন্য স্বামী ও খালা শ্বাশুরী মিলে শারীরিকভাবে মারধর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তিনশত টাকার তিনটি নন জুডিশিয়াল খালি স্টাম্পে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এছাড়া গত রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ভুক্তভুগি তার বাবার বাড়ি হইতে স্বামী কামরুলের খালার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুরে এলাকায় স্বামীর খোঁজে যায়। এসময় বাস পরিবহনে চাকুরীজীবী স্বামীকে না পেয়ে খালা শাশুড়ির নিকট জানতে চাইলে তারা মা-মেয়ে (নানী শ্বাশুড়ি ও খালা শ্বাশুড়ি) দুজনে মিলে বাপের বাড়ী থেকে বিবাদীদের জন্য যৌতুকের টাকা নিয়ে না আসায় বাদীকে বেদম মারধর করলে সে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
অভিযোগের বিষয়ে ঐ গৃহবধূর স্বামীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী মোবাইল ফোনে অন্য ছেলের সাথে কথা বলে, তাই আমি তাকে বলছি তুই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে আমাকে মুক্তি দিয়ে চলে যা বলাতে তার (ফাইমা) কথামত আমি স্ট্যাম্প এনে দিলে তখন সে তাতে স্বাক্ষর করে দেয়।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য দালাল বাজার পুলিশ কেম্প ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক পুলেন বড়ুয়াকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।