ভিবি নিউজ ডেস্ক: প্রাখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যুতে গভির শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন
বাসদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আহবায়ক সদস্য সচিব সহ বাসদের সদস্য মণ্ডলী।
গত ২৯ আগস্ট ২০২১ ইং রোজ রবিবার কলকাতার একটি হাসপাতালে সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর পরপারে চলে যাওয়ায় বাংলা সাহিত্য এক গুনীকে হারলো। তাঁর রচনার আলোকেই হোক আগামীর সমাজের পথ চলা বলে জানিয়েছেন বাসদ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার এক মুখপাত্র।
উল্লেখ্য বুদ্ধদেব একজন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি মূলত বন, অরণ্য এবং প্রকৃতি বিষয়ক লেখার জন্য পরিচিত। তার স্ত্রী প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়িকা ঋতু গুহ। বহু বিচিত্রতায় ভরপুর এবং অভিজ্ঞতাময় তার জীবন। ইংল্যান্ড, ইউরোপের প্রায় সমস্ত দেশ, কানাডা, আমেরিকা, হাওয়াই, জাপান, থাইল্যান্ড ও পূর্বআফ্রিকা তার দেখা। পূর্বভারতের বন-জঙ্গল, পশুপাখি ও বনের মানুষের সঙ্গেও তার সুদীর্ঘকালের নিবিড় ও অন্তরংগ পরিচয় বলে জানাযায়।
আরো জানা যায়
পশ্চিমবঙ্গর বিশিস্ট সাহিত্যিক বুদ্ধ দেব গুহ কলকাতায় রবিবার রাতে ৮৫বছর বয়সে মারা গেলেন। তার সাহিত্য সাধনা ইতিহাসে স্থান করে নেবে। একজন চার্টার্ড একাউন্ট হয়েও জঙ্গল পরিবেশ কে ভালোবেসে বহু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন।সৌভাগ্যক্রমে এই প্রতিবেদক অমল গুপ্ত র প্রথম গ্রন্থ “বনে বনান্তরে “তে ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন। তিনি আর বিপ্লবী পান্না লাল দাশ গুপ্ত ও একই গ্রন্থে ভূমিকা লিখে দেন। গ্রন্থটি গুয়াহাটি প্রেস ক্লাবে উন্মোচন করেছিলেন তদানীন্তন রাজ্যপাল লোক নাথ মিশ্র ,এবং অসম বিধানসভার অধ্যক্ষ দেবেশ চক্রবর্তী ।প্রকৃতিপ্রেমিক বুদ্ধদেব গুহ এক বেসরকারি হাসপাতালে 33 দিন ছিলেন।করোনা থেকেও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছি লেন। তিনি একটির পর একটি কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন।জঙ্গল মহল,বাবলি,মাধুকরি, কুমুদিনী,চান ঘর প্রভৃতি অসংখ্য গ্রন্থ লিখেছেন।শ্রীরামকৃষ্ণ ,বিবেকানন্দ কে নিয়ে গবেষণা ধর্মী লেখা লিখেছেন। তার মৃত্যেতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।তার মৃত্যুতে এক যুগের অবসান হল।