বিভিন্ন সময় থেকে লক্ষ্মীপুরে ইভটিজিং,বখাটের উত্তাপ এবং অসামাজিক কার্যকালাপে দীর্ঘদিন ধরে নৈরাজ্য চালাচ্ছে উর্থী বয়সী কিশোর গ্যাং,যাদের তথ্য বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কিশোর গ্যাং এর এমন কর্মকান্ড জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়।এতে সাধারণ মানুষের মাঝে এক প্রকার ভয়-ভিতি দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ পুলিশের ভ্যারোফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে একটি প্রেস নোট আপলোড করা হয়।তাদের অফিসিয়াল প্রেস তুলে ধরা হলো-
প্রেস নোট
২২ এপ্রিল ২০২১ খ্রি.
*পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের নির্দেশনায় লক্ষ্ণীপুরে কিশোর গ্যাং সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার*
২১ এপ্রিল ২০২১ খ্রি. সন্ধ্যায় বখাটে ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য কয়েকজন কিশোর ও তাদের কর্মকান্ডের তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমানসহ একটি বার্তা বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ এর ইনবক্সে প্রেরণ করেন লক্ষীপুর জেলার একজন সচেতন নাগরিক। বার্তাটি পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং লক্ষীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, পিপিএম-সেবা কে অবহিত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করে।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতি. পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, পিপিএম জেলার সাইবার টিমকে নিয়ে কাজে নামেন। বার্তায় উল্লিখিত বিভিন্ন লিংক, ছবি ও তথ্যাদি যাচাই করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদেরকে সনাক্ত করা হয়। এরপর সাইবার টিমের সহায়তায় সদর থানার একটি টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে সারারাত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদেরকে আটক করে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট সমূহে অপ্রীতিকর ও জনস্বার্থ বিরোধী নানা কর্মকান্ডের ছবি ও ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়া, কিশোর গ্যাং এর নামে পরিচালিত কার্যক্রমের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমান পাওয়ায় এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মো. সোহেল রানা
এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স)
বাংলাদেশ পুলিশ কে অবিহিত করা হয়।
উল্লেখ্য লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাং বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক ঠাঁসাকোলে হিংস্রাত্মক আচরণ তৈরি করে।তাদের নামে বিভিন্নভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরও রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাবে তারা আরো বেশি হিংস হয়ে উঠে।
বখাটে,স্কুল-কলেজে মেয়েদের উত্তোক্ত করা সহ হামলা এবং ভয়ভীতি দেখানো তাদের নিত্যদিনের কাজ বলে জানান জেলার স্থানীয়রা।