ভি বি রায় চৌধুরী – লক্ষ্মীপুরে অতি শীঘ্রই উদ্বোধনের অপেক্ষায় আলিফ -মীম হাসপাতালের অফিস রুম উদ্বোধন করা হয়েছে। ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজারের আলিফ -মীম টাওয়ারের নিজস্ব ভবনে মাওলানা আমির হোসেন মিয়াজির কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে হাসপাতালটির শেয়ার হোল্ডারগন, শুভাকাঙ্খীসহ সমাজের নানান পেশার বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আলিফ -মীম হাসপাতালের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আমির হোসেন বলেন, আমার প্রিয় শেয়ার হোল্ডারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে সু-খবর জানাচ্ছি, আমাদের হাসপাতাল চালু করার লক্ষ্যে সকল মেশিনপত্র বসানো সম্পন্ন হওয়ার পথে। এরপরে যেকোনো সময় আপনাদের স্বপ্নের আলিফ- মীম হাসপাতালটি চালু হবে। একটি স্বপ্ন সত্যি হতে চলছে। একটা সময় আমি একা ছিলাম, এখন আমার এক হাজার শেয়ার হোল্ডার। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন এক হাজার শেয়ার হোল্ডার কেন? উত্তর হচ্ছে এক হাজার শেয়ার হোল্ডারের সাথে পরিবারের লোক বন্ধু-বান্ধবসহ কোনোনা কোনো ভাবে দশ হাজার লোক জড়িত। আমি মনে করি দশ হাজার লোকের জন্য এরকম দুটি হাসপাতাল দরকার। তাই আমাদের শেয়ার হোল্ডাররা সকলে আপনাদের হাতে কাছেই আলিফ- মীম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতে করে আমাদের শেয়ার হোল্ডারদের দূরে কোথাও চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। আপনারা সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মাস্টার মোঃ শাহআলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক শহিদুল ইসলাম হিরু চৌধুরী, রায়পুর শাহী হোটেলের সত্বাধিকারী ফিরোজ আলম, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী হাজী আলহাজ্ব ইব্রাহিম, ডাক্তার নুরুল আমিন জিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলাতে এমন কোনো হাসপাতাল নাই যে আলিপ মীম হাসপাতালের মত উদ্বোধনের আগেই এত পরিচিতি লাভ করেছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার, চররুহিতা, উত্তর হামছাদী ও দক্ষিণ হামছাদী এবং পার্শ্ববর্তী রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ও বামনী ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবার লক্ষ্যে এ হাসপাতালটি করা হয়েছে। সম্ভাব্য পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট এই আলিফ-মীম হাসপাতালটি চালু করার জন্য একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। আশাকরা হয় অতি শীঘ্রই চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল ধরনের উন্নত মানের অত্যাধনিক মেশিনপত্র ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এ হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হবে। এতে করে অত্র এলাকার রোগীদের সেবা দেয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসা নিতে আসা আশেপাশের এলাকার রোগীদের দুর দুরান্তে নোয়াখালী বা ঢাকা যেতে হবে না।