লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী –
লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সবুজ মিঞা (৩৮) ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে- পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করা হয়। এই বিষয়ে একই বাড়ীর ইউছুফ আলী(৫৫) ও তার ছেলে ইমরান হোসেন (২৭), ভাই মোরশেদ (৩৯), আমেনা বেগম(৩৩) ও নয়ন (৩৫) কে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ভুক্তভোগী সবুজ মিঞা বাদী হয়ে ৮ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায় পূর্বে হইতে বিবাদীদের সাথে বাদীর ওয়ারীশীয় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী সবুজ মিঞার মালিকীয় সম্পত্তিতে বিবাদীরা ঘর নির্মান করার প্রস্তুতি নিলে বাদী বাধা দেয়। এতেকরে বিবাদী একই বাড়ির মৃত ইদ্রিস মিঞার পুত্র ইউছুব আলী (বাদীর আপন চাচা), বাদীর বড়ভাই মোরশেদ আলম, বাদীর চাচাতো ভাই ইমরান হোসেন,বাদীর চাচাতো বোন আমেনা ও নয়ন একজোট হয়ে তাদের হাতে থাকা দা-ছেনি,লোহার রড,ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময়ে বাধাদিতে এসে সবুজ মিঞার বৃদ্ধা মা আলিমের নেছা(৭০) বিবাদীদের হামলায় আহত হন। ভুক্তভোগী দের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে বিবাদীরা এঘটনা কাউকে জানালে সবুজ মিঞা ও স্ত্রীকে প্রানে হত্যা করিবে বলিয়া হুমকি দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় সবুজ মিঞা ও তার স্ত্রী জেসমিন বেগম কে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী সবুজ ও তিন কন্যার জননী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ১২ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে সাংবাদিক দের নিকট কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা বর্তমানে খুবই নিরাপত্তা হিনতায় ভুগিতেছি।আসামীরা একেএকে জামিনে এসে আমাদের কে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিতেছে।
এই বিষয়ে মামলার ৩ নং বিবাদী এমরান হোসেনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মামলায় আমাকে মিথ্যা হয়রানী করিতেছে। ঘটনার সময়ে আমি উপস্থিত ছিলাম না তবে মারামারির ঘটনা সত্য।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরির্শক মো: সালাউদ্দিন শামিমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাইয়ে ভাইয়ে জায়গাজমি নিয়ে মারামারি হয়। মামলায় ৫ জন আসামীর ভিতরে ২,৪ ও ৫ নং আসামী আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছে। ১ ও ৩ নং আসামী পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই।