স্টাফ রিপোর্টার- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর নেয়ামত উল্যা ব্যাপারী বাড়ির মৃত ছানাউল্যা মুনসীর পুত্রদের মাঝে বিবাদ দিনদিন বেড়েই চলেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ছালাউল্যা মুনসীর সাত ছেলের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ ছোটদের সাথে বড়দের পিতার অবর্তমানকাল থেকেই তুলকালাম কান্ড অহরহ লেগেই রয়েছে। আলমগির হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত ছালাউল্যা মুনসী এবং মুকবুল আহম্মদ(৭০), পিতা- মৃত ছানাউল্যা মুনসী, মহিউদ্দিন বাবুল (৬৫), পিতা- মৃত ছানাউল্যা মুনসী, ফজলু (৩০), পিতা- মুকবুল আহম্মদ, খাজা আহম্মদ কুট্টু (৩৫), পিতা- মুকবুল আহম্মদ, মোসলেউদ্দিন রুবেল (৩৫), পিতা- মহিউদ্দিন বাবুল, শুরাইয়া বেগম (৬৫), স্বামী- মুকবুল আহম্মদ, শেফালি বেগম- স্বামী মহিউদ্দিন বাবুলসহ সকলে একই বাড়ির একে অপরের আত্মীয়স্বজন হয়।
গত ১২ জুন রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় আলমগীর হোসেনের পুত্র মিরাজ হোসেন টর্চলাইট ও মাছ ধরার কোচ হাতে করে মাছ শিকার করার জন্য রাস্তায় গেলে হটাৎ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মহিনউদ্দিন বাবুল অতর্কিত এসে মিরাজের গলাচিপে ধরে শ্বাষরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। এসময় মিরাজের চিৎকারে তার বাবা আলমগীর হোসেনসহ আশেপাশে থাকা লোকজন ছুটে আসে। একপর্যায়ে মহিনউদ্দিন বাবুলগংরা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগীদের উপর ঝাপিঁয়ে পড়ে। আলমগীর হোসেন আরো জানান, তারা বিষয়টি বুঝে উঠার পূর্বেই তার ভাই ও তার ছেলেরা মারপিট, কিলঘুষি এবং হাতে থাকা স্টিলের টর্চলাইট, ইট, মাছ ধরার কোচ দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে। আঘাতের ফলে ভুক্তভোগী আলমগির হোসেন, মেয়ে রাবেয়া আক্তার, ছেলে মিরাজ হোসেনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের কারনে নীলা-ফুলা ও জখম হয়। পরবর্তীতে স্হানীয় এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
যাহার নং -৪৩৯৬/৮ তাং ১৩/৬/২০২১ ও ৪৩৯৭/৯ তাং ১৩/৬/২০২১ ইং। এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন উপরোক্ত সাতজনকে বিবাদি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ‘অভিযুক্ত’ পক্ষের মহিউদ্দিন বাবুলের পুত্র মোসলেউদ্দিন রুবেলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাছ চুরিকে কেন্দ্র করে ধমকাধমকির একপর্যায়ে মিরাজসহ তার বাবা আলমগীর হোসেন আমার বাবা ও জেঠার উপড় চড়াও হয় এবং ইট ছুড়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। রুবেল আরো বলেন, সেই সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।