লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরীঃ গত ১৭ জুন গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজারস্হ রাজু স্টোরের আগুন নিভাতে গিয়ে মারা যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা চালক মৃত আলমের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুদান দেয়া হয়। ২৮ জুন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ নিজ হাতে নিহত আলমের বিধবা স্ত্রী’র হাতে বিশ হাজার টাকার অর্থ সহায়তার অনুদানের চেক তুলে দেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর এ আলম, জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ ইউনুছ মিয়া, দৈনিক সমাচার পত্রিকার সম্পাদক জাকির হোসেন আজাদ ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ও দৈনিক জনতার স্টাফ রিপোর্টার ভি বি রায় চৌধুরীসহ প্রমূখ।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালালবাজারের দক্ষিণ মাথায় অবস্থিত রাজু স্টোরে গত ১৭ জুন শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়। এতে রাজু স্টোর সম্পূর্ণ রুপে ভস্মীভূত হয়। এসময় আগুন নিভাতে আসা সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালক আলম দোকানের সার্টারে হাত দেয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলুর ব্যাপারীর ঘোজের ইউছুফ আলীর পুত্র আলম (২৬)। সে প্রতিদিনের মতো ১৭ জুন রাত দেড়টার দিকে লক্ষ্মীপুর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশার গ্যাস নিয়ে আসার পথে দালালবাজারের দক্ষিণ মাথায় আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। এসময় আশেপাশে লোকজন না থাকায় আলম একা আগুন নিভাতে ঘটনাস্থলে গেলে দোকানের সার্টারের বিদ্যুৎ এর সাথে জড়িয়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। মৃত আলমের তিন মাসের একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান আছে। মর্মান্তিক বিষয়টি তখন স্হানীয় বাসিন্দা ও লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বাজার পুলিশ কেম্পের ইনচার্জ সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহজাহানের নিকট জানতে চাইলে তারা উভয়ে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ এর সক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে ধারণা করা হয়। তারা আরও বলেন, মৃত্যুর ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করার মতো নয়, তবে দোকারদার রাজুর প্রায় চার থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।