সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দলিল যার, জমি তার- নিশ্চিতে আইন পাস লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পবিত্র কুমার  লক্ষ্মীপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ আশ্রাফুন নেসা পারুল রায়পুরে খেজুর রস চুরির প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে আলোচিত রীয়া ধর্ষণের বিষয়ে আদালতে মামলা
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো ডোম মুন্না

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো ডোম মুন্না

ভিবি নিউজ ডেস্কঃ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য আসা কম বয়সী নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না ভগত (২০) নামের এক ডোম। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্না ভগতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতার মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দু-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিআইডি সূত্র জানায়, মৃত্যু বা হত্যার পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে মর্গে আসা নারীর মরদেহে পুরুষ বীর্যের উপস্থিতি পায় ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। পরীক্ষার জন্য কয়েকটি ঐঠং(হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে আলামতসমূহের পূর্ণাঙ্গ উঘঅ প্রোফাইল তৈরি করা হয়। কয়েকটি নারীর মরদেহে পাওয়া বীর্য একই ব্যক্তির বলে ডিএনএ পরীক্ষায় উঠে আসে। নড়েচড়ে উঠে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির ঢাকা মেট্রো-পশ্চিম বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সিআইডি কর্মকর্তাগণ প্রাপ্ত আলামত ও প্রতিটি অপরাধ সংগঠনের প্রক্রিয়া বা মোডাস অপরেন্ডি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণপূর্বক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, কোনো না কোনোভাবে নারী মৃতদেহের ওপরে কোনো ব্যক্তি বিকৃত যৌন লালসা চরিতার্থ করেছে। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেকটি মৃতদেহেরই ময়নাতদন্ত একটি হাসপাতালের মর্গে করা হয়েছে। সিআইডি গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে নতুন ইঙ্গিত বা ক্লু পাওয়ায় প্রত্যেকটি মৃতদেহ মর্গে আনার পর তার কার্যধারা বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, সবগুলো ক্ষেত্রেই ময়নাতদন্তের জন্য আনীত লাশসমূহ পরবর্তী দিনে লাশ কাটার অপেক্ষায় মর্গে রেখে দেয়া হতো। এ প্রেক্ষিতে সিআইডি কর্মকর্তারা মর্গে কর্মরত ডোমদের ওই মামলার ময়নাতদন্তকালীন গতিবিধি পর্যালোচনা করে দেখেন যে, হাসপাতালের ডোম আলোচ্য পাঁচটি ঘটনার সময় রাত্রীকালীন লাশ পাহারা দেয়াসহ মর্গে অবস্থান করে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে তথ্য সংগ্রহ করলে সিআইডির অনুসন্ধানে ডোম আসামি মুন্না ভগত এই অপরাধে জড়িত আছে মর্মে প্রমাণ পায়। বিষয়টি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক গা ঢাকা দিলে সিআইডির সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে সিআইডি। তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল ওই রাতেই ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক আসামির ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হলে ডিএনএ ল্যাব হতে আসামির প্রাপ্ত উঘঅ প্রোফাইলের সঙ্গে ঐঠঝ (হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব)-এ থাকা উঘঅ প্রোফাইলের সাথে মিলে যায়। এত বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত দ্বারা উক্ত ঘটনার আসামি মুন্না ভগত কর্তৃক মৃতদেহের ওপর বিকৃত যৌনাচারের বিষয়টি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দৈনিক জনতাকে বলেন, ৫টি মরদেহে একই ব্যক্তির বীর্যের উপস্থিতি মেলার পর ঘটনার ভয়াবহতায় তদন্তের শুরুতে আমরা সিরিয়াল কিলার কিংবা সিরিয়াল রেপিস্টদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে তদন্ত শুরু করেছিলাম। তবে সুরতহাল কিংবা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে মরদেহে আঘাতের চিহ্ন না পাওয়ায় তদন্তে মোড় আসে। এরপরই মর্গেই মৃত নারীদের ধর্ষণ করা হতে পারে সন্দেহে তদন্ত শুরু সিআইডির তদন্ত টিম। তদন্তে উঠে আসে, চলতি বছরের গত মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায় ডোমের সহযোগী মুন্না ভগত। তদন্তকালেই ঘটনার গভীরতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ডিএনএ ল্যাবে পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ৫টি মৃতদেহে গ্রেফতার ডোম সহযোগী মুন্নার বীর্যের আলামত মিলেছে। আর প্রত্যেকটি মরদেহের বয়স ১২ থেকে ২০। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে মুন্না। বিশদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com