ভি বি রায় চৌধুরী -লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর এলাকায় দিনে-দুপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় ‘কথিত’ প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুইজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নিহত ছাত্রীর ‘কথিত’ প্রেমিক অয়ন ও তার সহযোগি সুমন রয়েছে বলে জানা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক একেএম আজিজুর রহমান মিয়া তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ আলোচিত হত্যাকান্ডের সাথে অন্য কেহ জড়িত আছে কিনা, তা চিহিৃত করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, খুব শীঘ্রই এ নৃশংস হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান।
গত ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে নিজ ঘরে ৯ম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে র্দূবৃত্তরা। পরের দিন নিহতের মা ফাতেমা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর জেলাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয় লক্ষ্মীপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
উল্লেখ্য, ঘটনার ১০ দিন পূর্বে ঐ স্কুল ছাত্রীর পিতা হারুনুর রশীদ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে হীরামনিকে বাড়িতে রেখে তার মা ঢাকায় চিকিৎসারত স্বামীর কাছে ঢাকাতে যান। এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে ঐদিন (১২ জুন) শুক্রবার দুপুরে হীরামনিকে একা পেয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ করে, পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর অর্ধউলঙ্গ লাশ ফেলে রেখে সেখান থেকে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।
বিচারের দাবিতে মানববন্ধনঃ
এদিকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিরামনিকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ১৫ জুন সোমবার বিকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লক্ষ্মীপুর ইত্তিহাদুন নাস ফাউন্ডেশন (ইনাফা) কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে তারা। মানববন্ধন শেষে নিহত হীরা মনির বাড়িতে গিয়ে বাবার চিকিৎসা জন্য কিছু আর্থিক অনুদান দেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।