ভিবি নিউজ ডেস্ক ঃ
ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থেকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে চার সরকারি কর্মকর্তাসহ আট জনের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে সম্পদ বিবরণী চেয়ে তাদেরকে পৃথক নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এরা হলেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মো. সাজ্জাদুল ইসলাম, ঢাকা গণপূর্তের সার্কেল-৪ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আকবর, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর কর্মকর্তা শেখ কুদ্দুস আহমেদ।
এছাড়া মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেন সেন্টু, জাকির হোসেন ও আব্দুস সালাম এবং চট্টগ্রামের পটিয়ার ঠিকাদার নুর উর রশীদ চৌধুরী এজাজকে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নোটিস পাঠানো হয়।
নোটিসে বলা হয়, “আপনি নিজের এবং আপনার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে হবে।”
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অন্তত ২২টি মামলা করেছে সংস্থাটি