সংবাদ শিরোনামঃ
রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দলিল যার, জমি তার- নিশ্চিতে আইন পাস লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পবিত্র কুমার  লক্ষ্মীপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ আশ্রাফুন নেসা পারুল রায়পুরে খেজুর রস চুরির প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে ভূমী বিভাগের অবহেলায় পথে বসতে চলেছে ভুক্তভোগী পরিবার

লক্ষ্মীপুরে ভূমী বিভাগের অবহেলায় পথে বসতে চলেছে ভুক্তভোগী পরিবার

লক্ষ্মীপুর থেকে ভিবি রায় চৌধুরীঃ লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৭৫ বছরের মালিকীয়- দখলীয় সম্পত্তি থেকে প্রকৃত মালিককে ভূমি বিভাগের অবহেলায় জোর পূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে সদর উপজেলার দালাল বাজার ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়। স্হানীয় পশ্চিম লক্ষ্মীপুর নিবাসী ছৈয়দ আহাম্মদের পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন এ ব্যাপারে গত ৪ ডিসেম্বর ২৯ শতাংশ জমির মালিকানা নিজেদের দাবী করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ ডিসেম্বর তারিখের ০৫.৪২. ৫১০০. ০০৮.৫৮. ০০১.২২- ২২৫৮ স্মারকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য বলা হয়। এতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে কাগজে স্বাক্ষর করেন রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ইসমত জাহান তুহিন।

বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে দালাল বাজার গিয়ে স্হানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আবুল হাসেমের পুত্র লেপতোশকের দোকানী কবির হোসেন, হারুন মিয়ার পুত্র কাঁচামাল বিক্রেতা রবিন হোসেন, মোস্তফা মিঞার পুত্র তাহের, মুনছুরুল হকের পুত্র নুরনবী, ইসমাইল মিঞার পুত্র আজাদ এবং জমিতে দোকানের বর্তমান ভাড়াটিয়াসহ সকলে সাংবাদিকদের বলেন.. ২৯ শতাংশ জমি ভুক্তভোগী মোঃ নিজাম উদ্দিনের পিতা ছৈয়দ আহাম্মদরা প্রায় ৭৫ বছর ভোগদখল করে আসছে। এছাড়া দালাল বাজারের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, সরকারি নিয়মনীতি মোতাবেক সপ্তাহে দুইদিন হাটবারে টোল নেয়ার বিধান থাকলেও বাজারের ইজারাদার প্রতিদিন টোল আদায় করে।

ভুক্তভোগী কর্তৃক জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৬৪নং লক্ষ্মীপুর মৌজার সি.এস ৫৬৬নং, যাহা এস.এ ৫৪০নং খতিয়ানের ২৯৯০, ৩১৪৮, ২৯৬৪, ২৯৬৫ দাগের ২৯ শতাংশ জমি। ১৯৪৭ সনের ১৬ জুলাই তারিখে সাবেক রেকর্ডীয় মালিক সত্যেন্দ্র কুমার গংদের নিকট হইতে ১৬৭২নং রেজিস্ট্রীকৃত দলিলের মাধ্যমে আবেদনকারীর পিতা ছৈয়দ আহাম্মেদ ও দাদী ফুল ভানু মালিকানার মাধ্যমে এ জমিতে দখলদার হন। উক্ত সম্পত্তি একপর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক” ক” ও “খ” তফসিলে প্রকাশিত হইলে আবেদনকারীর পিতা ছৈয়দ আহাম্মদ এ ব্যাপারে অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্রুনালে সরকারের পক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসককে বিবাদী করিয়া ২০১২ সনে ২২০নং মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সনের ১০ অক্টোবরের গেজেট মোতাবেক অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ২০০১ সনের ১৬নং আইনে অধিকতর সংশোধন ক্রমে প্রণীত আইনের ২৮ক ২ এর উপধারা মোতাবেক ২০১৪ সনের ৯ মার্চ তারিখের “খ” গেজেটে তালিকা ভুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আদালত এবিট এর আদেশ দেন। পরবর্তী এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক ৪/২০১৪ আপিল করে। ২০১৪ সনের ২ জুলাই তারিখে এ বিষয়ে আপিল শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত মামলটি খারিজ করিয়া দিলে উক্ত সম্পত্তিতে আবেদনকারী মোঃ নিজাম উদ্দিনের পিতা ছৈয়দ আহাম্মদের পক্ষে মালিকানা নিশ্চিত হয়।
ভুক্তভোগীের পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মিদের বলেন, এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মহল স্হানীয় দালাল বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তাকে হাত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমাদের মালিকীয় ও দখলীয় ২৯ শতাংশ জমি থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ভুল বুঝায়। এতে করে গত ৩ ডিসেম্বর উক্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে জানিয়ে যায়। আমরা আরও ৮ বছর পূর্বে আদালতের আশ্রয় নিয়ে ১৫৮/২০১৪ বন্টনের মামলা করেছি, আদালতের চুড়ান্ত রায় মোতাবেক সঠিক বন্টন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সম্পত্তির উপর নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য আমি কর্তৃপক্ষকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাই। নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, ইউনিয়ন ভূমী সহকারি কর্মকর্তা নালিশি দাগের সম্পত্তি নিলাম (দরপত্র) এর আয়োজন করে প্রতিদিন অবৈধভাবে বাজার থেকে খাজনা আদায় করে চলছে। অথচ সরকারি নিয়মনীতি মোতাবেক সপ্তাহে দুইদিন হাটবারে টোল (খাজনা) নেয়ার বিধান।
দালাল বাজার ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো লিখিত তথ্য নাই, তবে ৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় সরজমিনে জেলাপ্রশাসন এসে মোখিক ভাবে মাছ বাজার ও মধ্য বাজারের কতেক অংশের দোকানী দের দোকানপাট উচ্ছেদ করার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মকবুল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কাগজ পত্র আমার দপ্তরে এসে পৌঁছায়নি, কাগজ হাতে এলে তদন্তকরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে জানার জন্য জেলা প্রশাসককে ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং সকাল ৯’৩৬ মিনিটে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে অপর প্রান্ত থেকে কেহ রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com