সংবাদ শিরোনামঃ
রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দলিল যার, জমি তার- নিশ্চিতে আইন পাস লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পবিত্র কুমার  লক্ষ্মীপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ আশ্রাফুন নেসা পারুল রায়পুরে খেজুর রস চুরির প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সরকারি তালিকাভূক্ত ৭২৯৩ জন অতিদরিদ্রের জন্য ১১কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার বরাদ্দ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সরকারি তালিকাভূক্ত ৭২৯৩ জন অতিদরিদ্রের জন্য ১১কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার বরাদ্দ

  1. বিশেষ প্রতিনিধি-লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ৭২৯৩ জন অতিদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে বছরে দুই কিস্তিতে ১১ কোটি ৬৬লাখ ৮৮হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সে হিসেবে প্রত্যেক অতিদরিদ্র শ্রমিকের নামে বছরে দুই কিস্তিতে (৮০০০+৮০০০) ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব টাকা সরাসরি অতিদরিদ্রদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে যাওয়ার কথা। অতিদরিদ্ররা নিজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে এসব টাকা উত্তোলনের বিধান রয়েছে। সে মোতাবেক সদর উপজেলার ৭২৯৩ জন অতিদরিদ্রদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৭২৯৩টি একাউন্ট এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত চেক বই থাকার কথা।

কিন্ত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিকজন কর্মহীন অতিদরিদ্র মানুষের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তারা কেউ তাদের নামে এ ধরণের সরকারি বরাদ্দের কথা তারা জানেন না এবং তাদের নামে ব্যাংকে কোন একাউন্ট নেই বলে তারা জানান। তাহলে এসব টাকা যাচ্ছে কোথায়? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অতিদরিদ্র কারা? উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআিইও) কার্যালয় থেকে এসব বরাদ্দেরে অর্থ ছাড় করা হলেও প্রকৃত পক্ষে কাদের একাউন্টে এসব টাকা ছাড় করা হয়? তারা আদৌ অতিদরিদ্র কিনা? উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও অতিদরিদ্রদের তালিকা পাওয়া যাচ্ছেনা। যার কারণে অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকার যথাযথ ব্যবহার নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন গুরপাক খাচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রথম দিন থেকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অতিদরিদ্রের মাঝে হাহাকার দেখা দেয়। জনপ্রতিনিধি, প্সরকারি কর্মকর্তাগণ, সামাজিক সংগঠন এবং দানশীল ব্যক্তিগণ অতিদরিদ্রদের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগী পৌঁছে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্পের মাধ্যমে অতিদরিদ্ররা বছরে দুই কিস্তিতে ১৬হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারলে তাদের মধ্যে এত হাহাকার হবার কথা নয়। যার কারণে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্পের অর্থ যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি-না তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় অভিজ্ঞ মহল লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার অতিদরিদ্রদের বিদ্যমান তালিকার বাস্তবতা দুদকের মাধ্যমে অনুসন্ধান এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে অতিদরিদ্রদের নতুন তালিকা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে আপলোড দেবার দাবি জানিয়েছেন।

২০২০ সালের প্রথম কিস্তিতে সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের বরাদ্দ নিম্নরূপ।

১নং উত্তর হামছাদি ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা- ৩৭৪জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ২৯ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা।
২নং দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২৮৬জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ২২লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা।
৩নং দালাল বাজার ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩২৪জন, বরাদ্দের পারিমাণ -২৫লক্ষ ৯২হাজার টাকা।
৪নং চররূহিতা ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৪৭০জন, বরাদ্দের পরিমাণ-৩৭লক্ষ ৬০হাজার টাকা।
৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২০৪জন, বরাদ্দের পরিমাণ-১৬লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩১০জন, বরাদ্দের পরিমাণ-২৪লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
৭নং দত্তপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩২০জন, বরাদ্দের পরিমাণ-২৫লক্ষ ৬০হাজার টাকা।
৮নং বশিকপুর ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩৪৮জন, বরাদ্দের পরিমাণ-২৭লাখ ৮৪হাজার টাকা।
৯নং দত্তপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২৩৪জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ১৮লক্ষ ৭২হাজার টাকা।
১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩৫৪জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ২৮লক্ষ ৩২হাজার টাকা।
১১নং হাজিরপাড়া ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২৭৬জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ২২লাখ ৮হাজার টাকা।
১২নং চরশাহী ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩৬১জন, বরাদ্দের পরিমাণ-২৮লক্ষ ৮৮হাজার টাকা।
১৩নং দিঘলী ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২৮৯জন, বরাদ্দের পরিমাণ-২৩লক্ষ ১২হাজার টাকা।
১৪নং মান্দারী ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩৮৪জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ৩০লক্ষ ৭২ হাজার।
১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৩৫১জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ২৮লক্ষ ৮হাজার।
১৬নং শাকচর ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২১৭জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ১৭লক্ষ ৩৬হাজার টাকা।
১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৪৯১জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ৩৯লক্ষ ২৮হাজার টাকা।
১৮নং কুশাখালী ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৪২৫জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ৩৪লক্ষ টাকা।
১৯নং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৪০৮জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ৩২লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা।
২০নং চররমণী ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ৬৩৬জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ৫০লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা।
২১নং টুমচর ইউনিয়নে শ্রমিক সংখ্যা ২৩১জন, বরাদ্দের পরিমাণ- ১১লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।

২০২০ সালের প্রথম কিস্তিতে ২১টি ইউনিয়নের সর্বমোট ৭২৯৩জন অতিদরিদ্র শ্রমিকের জন্য ৫কোটি ৮৩লক্ষ ৪৪হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের সাথে ননওয়েজ প্রকল্পের জন্য আলাদা বরাদ্দ রয়েছে। ওয়েবসাইটে ননওয়েজ প্রকল্পের তালিকা ও বরাদ্দের পরিমাণ দেওয়া হয়নি বিধায় তা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
(চলবে)


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com