সংবাদ শিরোনামঃ
রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দলিল যার, জমি তার- নিশ্চিতে আইন পাস লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পবিত্র কুমার  লক্ষ্মীপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ আশ্রাফুন নেসা পারুল রায়পুরে খেজুর রস চুরির প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
রায়পুরে চরবংশী এলাকায় আলী আকবর হত্যা মামলার ৫জনের ফাঁসি ” ৩ জনের যাবজ্জীবন

রায়পুরে চরবংশী এলাকায় আলী আকবর হত্যা মামলার ৫জনের ফাঁসি ” ৩ জনের যাবজ্জীবন

ভিবি নিউজ ডেস্ক:
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন এলাকায় আলী আকবর নামক এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তিনজনকে এদিন খালাস দেয়া হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মামলার এজাহারভুক্ত (১-)নং)-আসামি মো. জসিম (৩০)
(২-নং)- সফিকুর রহমান (৪২)
(৩-নং)-মো তহির ওরফে পিচ্চি তহির (৩৫)
(৫-নং)-রুবেল হোসেন (২৮)
(৯-নং-)-নুর মিয়া ব্যাপারী @নূরা (৬৫)
————————————————————————————
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন-
মোঃ জুয়েল হোসেন-(৩০)-উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।

মোঃ মোক্তার হোসেন-(৩২) ভিকটিমকে হত্যা করে দেশের বাহিরে বর্তমানে অবস্থান করছেন—– দুবাই ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছে। অতিসত্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে এই এই আসামীকে দেশে এনে শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য । এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ৩”টি মন্ত্রণালয় কাজ চলমান বলে জানা যায় ——-স্বরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানতে পেরেছি-!

ও রাহেলা বেগম!-(৩৮) জেলহাজতে রয়েছেন

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায় যে———

২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার সকাল ৭:৩০,ঘটিকার সময় উপজেলায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকার স্টিল ব্রীজের দক্ষিণ পাশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলী আকবর কারি আমার বাবা (৮৫) কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল রড বাঁশের লাঠি দা, ছেনি , নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নূর মিয়া ওরফে নূরা এবং ওছমান কবিরাজ ও মোশাররফ হোসেন ওরফে মুশু গং রা এবং তাদের পক্ষের লোকজন। নিহত আলী আকবর কারি চরবংশী গ্রামের মৃত আসাদ উল্যার কারির বড় ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের পুত্র তহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এগারো জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুর থানায় ঐই দিন রাতে এই একটি হত্যা মামলা করেন। পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পার্শ্ববর্তী হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ (বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেন স্যার-। প্রায় নয় মাস তদন্তের পরে ২০১৯ সনের ১ এপ্রিল তারিখে ১৪৩/৪৪৭/৩২৭/৩২৫/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলায় অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন কাছে এ মামলার রায় ঘোষণা করার পরে জানতে চাইলে তিনি আমাকে জানান যে, মামলার তদন্তের ভার আমার কাছে আসার পরে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরেজমিনে গিয়ে যথাযথ সাক্ষী প্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করি।

এই দিকে
আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, এ রায়ে আমরা মর্মাহত হয়েছি, আশাকরি উচ্চ আদালতে গিয়ে আমরা সু-বিচার পাবো।

রায়ের পরে বাদীপক্ষের প্রতিক্রিয়া

এই মামলার বাদী ও তার ছোট ভাই মোঃ ইসমাইল কারি বলেন যে আদালতের রায়ে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট, খালাস পাওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে তাদের শাস্তির জন্য আবেদন করবো। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ১৯৯২ সনে আমার বড় ভাইকে খুন করার পরে হওয়া মামলায় আজকের দন্ডপ্রাপ্ত নুরু গং ও মোশাররফ হোসেন ওরফে মুশু গং দের যদি যথাযথ ভাবে শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে আমার পিতাকে হারিয়ে আজ আমরা এতিম হয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরতাম না।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com