সংবাদ শিরোনামঃ
রায়পুর উপজেলার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পুনরায় অধ্যক্ষ মামুনের চেয়ারম্যান হওয়া প্রয়োজন লক্ষ্মীপুর জেলায় ৮ম: বারের মতো শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলে মোঃ এমদাদুল হক দালাল বাজার ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে কাকে ভোট দিবেন? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদপ্রার্থী কাজল খাঁনের গণজোয়ার লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাঁচজন,কে হবেন চেয়ারম্যান ? বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ওমান সুর শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেনের ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক এমপি ও মন্ত্রী হতে নয় বরং মানুষের পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ করি, সুজিত রায় নন্দী বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই বাড়ছে ভুয়া সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য, নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই লক্ষ্মীপুরে বিনা তদবিরে পুলিশে চাকরি পেল ৪৪ নারী-পুরুষ দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দলিল যার, জমি তার- নিশ্চিতে আইন পাস লক্ষ্মীপুরে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে পবিত্র কুমার  লক্ষ্মীপুর সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ আশ্রাফুন নেসা পারুল রায়পুরে খেজুর রস চুরির প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ
রামগঞ্জে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ায় এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ

রামগঞ্জে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ায় এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ

লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী – লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ায় এলাকার সকল পেশার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার পৌর ৯নং ওয়ার্ড আংড়াপাড়া এলাকায় শত বছরের পুরাতন অভয় পাটোয়ারী বাড়ীর দূর্গা মন্দির ও গৌর মন্দির প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠছে স্হানীয় গীতা রানী রায় নামে এক স্কুল শিক্ষিকা, তাঁর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত পেশকার রথীরঞ্জন সীল ও তাদের ছেলে আইনজীবি অনুপ পাটোয়ারির বিরুদ্ধে। ৫ নভেম্বর রোববার দুপুরে মন্দির প্রাঙ্গনে সাংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ জানান মন্দির কমিটির সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক। এসময় মন্দির কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্হানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন এবং সমাজের নানান পেশার বিপুলসংখ্যক নারীপুরুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, আনুমানিক ১০০ বছর পূর্বে দেড় শতাংশ জমিতে গড়ে উঠা অভয় পাটোয়ারী বাড়ীর দূর্গা মন্দির ও গৌর মন্দিরটি বিভিন্ন মানুষের দান কৃত জমিতে ধীরে ধীরে বড় হয়ে বর্তমানে প্রায় ৭ শতাংশ জমিতে এর পরিধি। ১২ মাসই হিন্দু ধর্মালম্বীদের সকল ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্হান থেকে ভক্তবিন্দ এ মন্দিরে আসা যাওয়া করে। অথচ মন্দিরে আসা যাওয়ার প্রধান পথেই পাশের জমির মালিক বহুতল ভবন নির্মাণ করছে যার ২য় তলার উত্তর পাশের বেলকনিতে দু’টো বাথরুম- টয়লেট। গীতা রানীর বিল্ডিংয়ের ২য় তলার বাথরুম- টয়লেটের নিচ দিয়ে সনাতনী হিন্দুগণের ভবিষ্যতে এ মন্দিরে আসা যাওয়া করতে হবে জানিয়ে স্হানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদি হাসান শুভয়ের নিকট মন্দির কমিটি মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। মন্দির কমিটি আরও জানান, নিরাপত্তা ও সৌন্দর্যের জন্য কিছু দিন পূর্বে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর দেয়ার জন্য ইটের ওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে মন্দির কমিটি। এতে গীতা রানী রায় পৌরসভা মেয়রের নিকট মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি দাবী করেন ২০১৫ সনে মন্দিরের পশ্চিম পাশে ৬ শতাংশ সম্পত্তি কিনে পাকা বাড়ী নির্মাণ করছেন। গীতা রানীর জমিতে নাকি মন্দিরের সীমানা পড়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মন্দির কমিটির সভাপতি অজয় রায় ও সাধারন সম্পাদক শংকর রায় বলেন, গীতা রানী রায় মন্দিরের পশ্চিম পাশে আট বছর পূর্বে ৬ শতাংশ জমি কিনে পৌরসভার অনুমতির অনুমোদন না পেয়েই পাঁচতলা ফাউন্ডেশনের বিশাল অট্টালিকা তৈরি করে মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। যার ২য় তলার পূর্ব ও উত্তর পাশের পরিধি মন্দিরের জমির ভিতরে পড়েছে। গীতা রানীর নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের বেলকনিতে দু’টো বাথরুম- টয়লেট দিয়েছেন। এই বাথরুম- টয়লেটের নিচ দিয়ে সনাতনী হিন্দুগণের ভবিষ্যতে এ মন্দিরে আসা যাওয়া করতে হবে বিধায় স্হানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল নিকট আমরা মৌখিকভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাই। মন্দির কমিটির সভাপতি- সম্পাদক আরও জানান, গীতা রানীর স্বামী কোর্টের তৃতীয় শ্রেনীর সরকারী কর্মচারী অবসরপ্রাপ্ত বেন্স সহকারী (পেশকার) ছিলেন। অথচ সামান্য চাকুরী করে তিনি রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্হানে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি ক্রয় করছেন যা দুদক কর্তৃক তদন্ত হওয়া উচিত।
রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এমরান হোসেন বাচ্চু সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বলেন, আংড়াপাড়া এলাকার শত বছরের পুরাতন মন্দিরের পাশের জমিতে বহুতল বিল্ডিংটি পৌরসভা থেকে অনুমোদন না নিয়ে নির্মাণ করায় মেয়র মহোদয়ের নিকট বিনিত অনুরোধ রইল নির্মাণাধীন এ বিল্ডিংয়ের বিরুদ্ধে যেন যথাযথ আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হয়।
স্হানীয় ৯নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শুভ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বলেন, এলাকার নিরানব্বই ভাগ মানুষ মন্দির কমিটির পক্ষে আছে। আমি অত্র এলাকার সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে গীতা রানীর, তাঁর স্বামী রথীরঞ্জন শীল ও ছেলে অনুপ পাটোয়ারী কর্তৃক মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মানে বাধা দেয়া এবং পৌরসভা থেকে অনুমোদন না পেয়ে বহুতল বিল্ডিং নির্মাণের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও নিন্দা জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে গীতা রানীর পক্ষে তাঁর পুত্র এডভোকেট অনুপ পাটোয়ারী এ প্রতিবেদককে বলেন, মন্দিরে সীমানা প্রাচীর আমাদের জমির মধ্যে পড়েছে, বহুতল নির্মাণের জন্য পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এর সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি দাবী করেন তাঁদের সকল কাগজপত্র ঠিক আছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলাইমানের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, উভয় পক্ষকে পৌরসভার মেয়র সাহেবের নিকট গিয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য অনুরোধ করেছি। এ ব্যাপারে কেহ যেন আইন শৃঙ্খলা অবনতি করতে না পারে সে বিষয়ে আমার ফোর্স কাজ করছে।
রামগঞ্জ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, গীতা রানী রায় মন্দিরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমার কাছে দেয়। অভিযোগ পেয়ে আমি সরেজমিতে গিয়ে মন্দিরের প্রাচীর নির্মাণের ওয়াল সঠিক স্হানে আছে বলে জানিয়ে দিয়েছি। পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করে চলেছেন যার ২য়তলা কমপ্লিট পৌরসভার থেকে এর অনুমোদন নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, গীতা রানী আবেদন করেছেন তবে তাঁর বিল্ডিং নির্মাণের আবেদনের অনুমোদন এখনো পাশ হয়নি।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com