সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ আবুসাঈদ”স্বরণে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার তোফায়েল আহমেদের ” লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার নব নির্বাচিত কার্যকরি কমিটির সদস্য বৃন্দের র্পুনাঙ্গ তালিকা লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহে ঘরে আগুন দুই সন্তানের মৃত্যু, স্ত্রী দগ্ধ লক্ষ্মীপুরে শেয়ার হোল্ডারের মৃত্যুতে আলিফ-মীম হাসপাতাল কর্তৃক আর্থিক অনুদান চাঁদপুর-৩ আসনে নৌকার পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন সুজিত রায় নন্দী আইনজীবী সহকারী সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচনে মোঃ নাহিদ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামী-স্ত্রীর উপর সন্ত্রাসী হামলা লক্ষ্মীপুরে অসহায়দের মধ্যে বিনামূল্যে ঢেউটিন, চেক ও হুইলচেয়ার বিতরণ করেন সাংসদ নুরউদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক বিনু সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছেন লক্ষ্মীপুর সদরে প্রানে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে স্ট্যাম্প, চেক ও আইডি কার্ড ছিনতাই, কোর্টে মামলা লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা ট্রাংক মানিক সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা জিয়া, এরশাদের আমলে দেশের উন্নয়ন হয়নি, শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেছেন : মন্ত্রী তাজুল ইসলাম রামগঞ্জে মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বাধা দেয়ায় এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের ক্ষোভ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ অভয় পাটোয়ারী বাড়ির গৌড় মন্দিরের সিমানা প্রাচির নিয়ে দন্দ,অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা লক্ষ্মীপুর -৩ সদর আসনের নির্বাচনে অনিয়ম রোধে অনুসন্ধান কমিটি
মফস্বল সাংবাদিকদের জন্য সরকারের নেই কোনো প্রণোদনা

মফস্বল সাংবাদিকদের জন্য সরকারের নেই কোনো প্রণোদনা

বিশেষ প্রতিনিধি- সারা বিশ্বে আতঙ্কিত প্রানঘাতী করোনার দুঃসময়ে জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা তথ্যসেবা প্রদান করলেও নেই কোনো সরকারের প্রণোদনা ভাতা। নেই কোনো পত্রিকা অফিস থেকে বেতন-ভাতা। তারপরও থেমে নেই, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, মৃত্যুর কাফন মাথায় নিয়ে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিডিআর, আনছার, ডাক্তার ও নার্সদের পাশে থেকে প্রতিনিয়ত জরুরি তথ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা। এই ঝুঁকিময় সময়ে আপডেড খবর প্রকাশ করে যাচ্ছে বীর সৈনিকেরা।

সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিডিআর, আনছার ও ডাক্তার এরা সকলেই বেতনভুক্ত, প্রতিমাসে তারা বেতন পাচ্ছেন এর পরও প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছেন। কিন্ত জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকরা বিনা পারিশ্রমিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে তা জনগণের দোড় গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। বর্তমানে জেলা ও উপজেলা সাংবাদিকের অবস্থা এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে, নূন আনতে পানতা ফুরানোর মতো। তাদের অবস্থা নিম্নবিত্ত পরিবারের চেয়েও খারাপ, তবুও তারা থেমে নেই, ধার দেনা করে ওয়াইফাই বা মোবাইলের মাধ্যমে ডাটা কিনে দেশবাসীকে তথ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যেমনটি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনবাজি রেখে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করে তা প্রচার করেছিল, ঠিক তেমনি দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা জীবনবাজি রেখে তথ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। সূত্র মতে, দেশে দুই ধরনের সাংবাদিক আছে।

একটি ঢাকার সাংবাদিক অন্যটি ঢাকার বাইরের জেলা ও উপজেলা সাংবাদিক, ঢাকার সাংবাদিকরা একেকজন এক একটি বিটের উপর সংবাদ সংগ্রহ করে এবং তারা সুনির্দিষ্ট একটি বেতন পায়।

বাকি জেলা উপজেলা সাংবাদিকদের সুনিদিষ্ট কোনো বিট নেই, বেতন-ভাতাও নেই, তারা নিজেরাই ক্যামেরাম্যান আবার নিজেরাই সংবাদ লেখক। বেতন-ভাতা নেই তারপরও তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কাজ, অনেক তেল পানি খরচ করে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে পাঠিয়ে স্ব-স্ব পত্রিকাকে ছাপানোর পর বিলের কমিশনটাও ঠিকমত পান না তারা। বহু সাংবাদিক অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করছে। তাদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন বহু সাংবাদিকের অবদান রয়েছে তেমনি স্বাধীনতার পরেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুখে-দুঃখে এই পেশার মানুষগুলোর অনেক অবদান রেখে চলেছে। দেশের এই দুর্দিনে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডাক্তার-নার্সের পাশাপাশি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সাংবাদিকরাও আছে তথ্য প্রদানের সন্ধানে।