সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নে স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষিকার স্বামীর অভিযোগ লক্ষ্মীপুর ২ আসনের মানবিক এমপি নুরউদ্দিন আলিফ মীম হাসপাতালের শেয়ার হোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি জেলা বিএমএ ও স্বাচিপের সভাপতি ডা: জাকির হোসেন উপজেলা নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ না নিতে এমপি আনোয়ার খাঁনকে চিঠি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লবের কিছু কথা লক্ষ্মীপুরের কৃতিসন্তান আনোয়ারুল হক ছলেমা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামাল ফার্মারের  জন্মদিনে তিনি সকলের আশির্বাদ /দোয়া প্রার্থী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউপি নির্বাচনে মীর শাহআলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত
বিএনপির সহযোগিতায়ই গ্রেনেড হামলা : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির সহযোগিতায়ই গ্রেনেড হামলা : প্রধানমন্ত্রী

ভিবি নিউজ ডেস্ক:

গ্রেনেড হামলার জন্য আবারো বিএনপি-জামায়াত জোটসরকারকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একটি সরকারের সহযোগিতা না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। ঘটনার পর সরকার বিভিন্ন ধরনের আলামত নষ্ট করে দিয়েছিল। তিনি বলেন, বাবার পথ ধরেই এদেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। কয়েকবার মুত্যু সামনে এসে দাঁড়িয়েছি, আল্লাহ বাঁচিয়েছে। এতো বাধা অতিক্রম করে এসেছি। এখন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার কাজ। গতকাল শনিবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি তিনি আলোচনাসভায় যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে এক কারারক্ষী জড়িত ছিল। ওই দিন রাতেই খালেদা জিয়া চারজনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ওই কারারক্ষীও ছিলেন। তিনি বলেন, শোনা যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদ ও ডালিম ওই ঘটনার আগে ঢাকায় এসেছিলেন। তারা খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে তারেক রহমানের আশ্রয়ে ছিলেন। যখন শুনেছে আমি বেঁচে আছি, তারা দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি বলেন, বারবার আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি বেঁচে আছি। হয়তো আল্লাহ কোনো কাজ শেষ করার জন্য আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময়ের সরকার আলামত নষ্ট করে, সংসদে কথা বলতে না দিয়ে, তদন্ত কমিটির বানোয়াট রিপোর্ট দিয়ে সর্বশেষ জজ মিয়া নাটক বানিয়ে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ওই দিনই চারজনকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। খালেদা জিয়া ও তারেকের তত্ত্বাবধানে তাদের পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় তখনকার পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাই জড়িত ছিল। তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, এটা কিসের গণতন্ত্র। একটা প্রকাশ্য জনসভায় কীভাবে আর্জেস গ্রেনেড মারতে পারে?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গেনেড হামলা তৎকালীন সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার পর মানুষ যখন আহত-নিহতদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছিল তখন তাদের আসতে দেয়া হলো না। পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস, লাটিচার্জ করলো। এর মানে কি যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যাতে নিরাপদে সরে যেতে পারে, তাদের রক্ষা করা? সরকারের যদি সহযোগিতা না থাকে তাহলে এটা সম্ভব হতে পারে না। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম মুক্তাঙ্গনে কিন্তু সরকার করতে দিল না। আগের দিন গভীর রাতে বলা হলো মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে করার অনুমতি দিল। এত রাতে কেন পারমিশন দিল তখন আমাদের সন্দেহ ছিল। কিন্তু গ্রেনেড হামলা হবে বুঝতে পারিনি। ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সমাবেশ শেষ করে ট্রাক থেকে নামব এই সময় এক সাংবাদিক বললেন, একটা ছবি নেব। আমি মাইক হাতে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই চারদিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ। সঙ্গে সঙ্গে হানিফ ভাই (প্রয়াত মেয়র হানিফ) আমাকে আড়াল করে দাঁড়ালেন। আমি সরতে বললাম। তিনি বললেন না সরব না। আমার চশমাটা ছিটকে পড়ে গেল। শুধু দেখলাম আমার গায়ে রক্ত। হানিফ ভাই আমাকে ধরে আছেন, তার গায়ে গ্রেনেডের স্পিস্নস্নন্টার লেগে রক্ত ছিটকে আমার গায়ে পড়ছে। আমার গায়ে একটা স্পিস্নস্নন্টারও লাগেনি। দেখলাম আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী আহত। আমি গাড়িতে উঠব তখনই গুলি। ওই গুলিতে মাহবুব মারা গেল, গাড়িতে আরো গুলি লাগল। তিনি বলেন, আহতদের সাহায্যে পুলিশ এগিয়ে আসেনি। বিএনপির ডাক্তাররা কেউ হাসপাতালে ছিল না। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আহতদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। আত্মীয় স্বজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল থেকে লাশ নিয়ে যেতে দেবে না। গ্রেনেড হামলার সময় ডিজিএফআই-এর এক অফিসার সেখানে ছিলেন, তিনি ফোন করে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। পুলিশের ২/৩ জন অফিসার হেডকোয়ার্টারে ফোন করেছিলেন। তাদের ধমক দেয়া হয়েছিল, বলা হয় তোমরা সরে যাও। একটি আর্জেস গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। একজন আর্মি অফিসার ওটাকে আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন, তাকে ধমক দিয়ে সেটি নষ্ট করে ফেলা হয়। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, এটা কোন্ ধরনের গণতন্ত্র যে একটা জনসভায় আর্জেস গ্রেনেড মারতে পারে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়। সেই কমিটি রিপোর্ট দিয়েছিল পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এটা করেছে। পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এসে যদি এটা করে তাহলে সরকার-প্রশাসন কী করল? ওই দিন রাতেই খালেদা জিয়া চার জনকে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যেতে দেয়। তিনি বলেন, এরা অনেক ক্রিমিনাল জোগাড় করেছিল। এর মধ্যে জেলখানা থেকেও ক্রিমিনাল বের করা হয়। তারা সবাই সব গ্রেনেড মারতে পারেনি। কারাগারসহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রেনেড পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী তার ওপর বিভিন্ন সময় হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশে আসার পর থেকে আমি যখন যেখানে গেছি বোমা হামলা হয়েছে, মঞ্চ ভেঙে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছিল একশ বছরেও আওয়ামী ‘লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বলেছিল, আমি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবানা। তিনি নিজেই বিরোধী দলের নেতাও হতে পারেননি। আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আল্লাহ হয় তো মানুষকে একটা কাজ দেন, সেই কাজ না হওয়া পর্যন্ত সময় দেন। আল্লাহ যখন আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন আমি তো আমার বাবার পথ ধরেই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি। বার বার বোমা-গুলি, অনেক কিছুই তো চোখের সামনে দেখেছি, মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখেছি, বার বার আমার সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়িয়েছে। এ দেশের যারা দুঃখী মানুষ তাদের মুখে হাসি ফোটাব এই আমার একমাত্র কাম্য।

আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com