ভি বি রায় চৌধুরী : প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সরকারি-বেসরকারিসহ মোট ৫৪টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাঝে ৯ আগষ্ট সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি। গতকাল সোমবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ৫৪টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব প্রতিনিধিদের হাতে এসব স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।
সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে ছিল-হাইফ্লো নেজেল ক্যানলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নতমানের পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্ক, স্পেশাল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, লিকুইড স্যাভলন, হ্যান্ড ওয়াশ, সাবান। সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ পিপিএম, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হাবিব-উল-করিম, চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী সহ প্রমুখ।
করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, বৈশ্বিক মহামরী করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও প্রভাব বিস্তার করেছে। মানুষের সচেতনতার অভাবে আমাদের অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনর মেধা, দক্ষতা, প্রজ্ঞায় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। উন্নত দেশগুলো যেখানে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের চেয়ে আমরা ভালো রয়েছি। তিনি আরো বলেন, করোনার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলমতের উর্ধে এসে আমাদের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানবতা আর দারিদ্রতার প্রশ্নে কোনো রাজনীতি নেই। তবে আমার নিজের সুরক্ষা নিজেদের দিতে হবে। আমার পরিবারের সুরক্ষা, প্রতিবেশির সুরক্ষা এবং দেশের সুরক্ষায় আমাদের ভূমিকা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণের সাথে এই দুর্যোগ মোবাবিলায় নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঠিক এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের চেয়েও আমরা ভালো আছি। তিনি দ্রুততার সাথে করোনার ভ্যাকসিন ব্যবস্থা করেছেন। মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন দেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। সমপ্রতি গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা ১দিনে ৬১ হাজার মানুষকে টিকা দিতে পেরেছি। সক্ষমতা জানান দিতে পেরেছি। তবে আমরা সচেতর হলেই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠানের মাঝে করোনার সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়- চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কমিউনিটি পুলিশ, চাঁদপুর প্রেসক্লাব, মডেল থানাসহ বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও পেশাজীবী সংগঠনকে এবং জেলার ৮টি উপজেলার হাইমচর, মতলব উওর, মতলব দক্ষিণ , হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ ও কচুয়ায় ৫০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দেয়া হয়।