ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশের দশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন রোববার গণমাধ্যকে এ তথ্য জানান।
বর্তমান পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গতবছর সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার ঘোষণা দেন।
তাতে এ পর্যন্ত ৬৮ জনের মাদক নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাদের মধ্যে ৭ জন এসআই, একজন সার্জেন্ট, ৫ জন এএসআই, ৫ জন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল।
তাদের মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং ১৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি শেষে ওই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কেবল মাদক সেবন নয়, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকা, মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানো, উদ্ধার করা মাদক জব্দ তালিকায় কম দেখানোর মত অভিযোগও রয়েছে এই পুলিশ সদস্যদের কারও কারও বিরুদ্ধে।
উপ কমিশনার ওয়ালিদ হোসেন বলেন, “এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। মাদকের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলি। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
আইনজীবি বা আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের ডোপ টেস্ট করা হবে কিনা জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সিনিয়র এডভোকেট মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, আমাদের দলের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট দিয়ে ডোপ টেস্ট শুরু করা হয়েছে। তাতে দশজন জন পুলিশের চাকুরী চলে গেছে এবং হয়তো শীঘ্রই অন্যান্য ডিপার্টমেন্টেও ডোপ টেস্ট করা শুরু হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমাদের আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মী বা আইনজীবিদের মধ্যে এরকম ডোপ টেস্ট হবে কিনা তা আমার জানা নেই।