থানার অভিযোগ ও স্হানীয় সুত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ পৌর অভিরামপুর মসজিদ বাড়ী এলাকার মৃত জহির উদ্দিন বাবরের পুত্র সাজিদ আরেফিন সাকিবের সাথে পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার কসবা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা সাহেরা বিবি নিপুর সাথে দুইলক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিবাহ হয়। ২০১৫ সনের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার কোতয়ালী থানা এলাকার ২০/২৮ জনসন রোড রায়সাহেব বাজারে অবস্হিত কাজী মাওলানা মোঃ সাদেক উল্ল্যাহ ভুঁইয়ার অফিসে ৭নং বালামের ২২নং পৃষ্টায় এ বিবাহের নিবন্ধন হয়।
বাদী থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, আমার বড় পুত্র প্রেম করে ভালোবেসে সাহেরা বিবি নিপুকে পাঁচ বছর পূর্বে নিজের সিদ্ধান্ত মতে বিয়ে করে। এ বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে সবসময় কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরিপেক্ষিতে গত ৮ অক্টোবর সাজিদ আরেফিন সাকিব নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাস্ট্রীয় আইন মোতাবেক তাহার স্ত্রী সাহেরা বিবি নিপুকে স্বামীর অবাদ্য ও মনের অমিল ইত্যাদি কারন উল্লেখ করিয়া তালাক নোটিশ পাঠায়। এতে করে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় সাজিদ আরফিন সাকিবকে নানানরকম হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেয়া শুরু করে।
পরে একপর্যায়ে বিবাদীরা বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে আমাদের পার্শ্ববর্তী বকসী বাজারের পশ্চিম পাশে অবস্হিত রামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক জিএস নজরুলের বসত ঘরে আসতে বলে। এতে সরল বিশ্বাসে সোমবার বিকেলে আমি আমার পুত্র শাহাদাত হোসেন সিয়াম (২০) ও প্রতিবেশী সালমান হোসেন (২১) সহ সেখানে যাই। ঘটনাস্হলে যাওয়ার পরে সালিশে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বিবাদীরা আমাদের উপর এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারে এবং ১নং বিবাদী জয়নব বিবি জলি আমার পরনের কাপড় ধরে টানাহ্যাঁচড়া করতে থাকিলে আমরা চিৎকার দিলে আশেপাশেের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে।
অভিযোগকারী আয়েশা আক্তার (৫২) এ প্রতিবেদককে আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বিবাদীরা প্রানে মারা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করার হুমকি-ধমকি দেয়ার কারনে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চন্ডীপুর ইউনিয়নের ২নং ইউপি সদস্য লিয়াকত পাইন বলেন, আমার বকসীবাজার এলাকায় এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা হওয়ার খবর আমি শুনেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নব বিবি জলি জানান, সাহেরা বিবি নিপু আমার খালাতো বোন। সে সুবাদে তার উপর নির্যাতনের বিচার চাইতে আমরা রামগঞ্জের ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম, প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা করেছে, আমরা কারো উপর কোনো ধরনের মারপিট করিনি।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আয়শা আক্তারের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।