শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে মহাসর্বনাশের কবলে পড়বে দেশ

আশীষ কুমার সেন

করোনা ভাইরাস মহামারির প্রার্দুভাব অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সুযোগ নেই। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে না। সব শিক্ষার্থী জীবন সংকটে ফেলা যাবে না। অথচ একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাপ সৃষ্টি করছে। মহলটি গুজব ছড়াচ্ছে দ্রুতই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর এ কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে মহা সর্বনাশ এর কবলে দেশ পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্টরা।

করোনা মহামারি থেকে চার কোটি শিক্ষার্থীকে রক্ষায় গত ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়। মহামারির প্রকোপ বাড়তে থাকায় সাধারণ ছুটি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটিও বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি রোজা

ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে ৩০ মে পর্যন্ত নেওয়া হয়। আর শিক্ষার্থীদের যাতে পাঠক্রমে ধারাবাহিকতা থাকে সেজন্য প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব স্তরের শিক্ষার্থীদের টেলিভিশন এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে ইউজিসি।

এদিকে, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ হামিদা আলী বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সুযোগ নেই, খুললে সর্বনাশ হয়ে যাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে না। গতকাল এসব কথা বলেন তিনি। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক এ অধ্যক্ষ আরও বলেন, আমরা কোনোভাবেই চাই না মহামারী আমাদের সন্তানদের ছুঁয়ে যাক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আয়োজন করলে আমরা শিক্ষক, অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করব। আমরা চাই না ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরের বাইরে গিয়ে আক্রান্ত হোক। বর্তমানে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে সেটি অব্যাহত থাকুক। কারণ কারও প্ররোচনায় পড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে ছাত্র-ছাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধিও মানবে না, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাবে না তাদের মধ্যে। সরকার বারবার তাগাদা দিলেও প্রাপ্তবয়স্ক সাধারণ মানুষই তো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কীভাবে এটা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে? তাই কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে না। শুধু শুধু রোগী বাড়িয়ে লাভ নেই। মহামারীর এ পরিস্থিতিতে ডেকে এনে কোনো সংকট সৃষ্টি করা যাবে না।

তিনি বলেন, মহামারীর এ বিপদ এক দিন কাটবেই। তখন সিলেবাস সংকুচিত করে হোক, আর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে হোক যে কোনোভাবে একাডেমিক পাঠ শেষ করা যাবে। জীবনের মায়া আগে করতে হবে। পড়াশোনার ক্ষতি ভবিষ্যতে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। তাই যখন একটি করোনা রোগীও থাকবে না, বাতাসে করোনার জীবাণু থাকবে না, ঠিক তখন যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। এর আগে নয়। হামিদা আলী বলেন, সব শিক্ষার্থী আমাদের সন্তান, এটি আমাদের আগে বিবেচনা করতে হবে। তাই কারও জীবন সংকটে ফেলে শিক্ষা নয়। শহরের শিক্ষার্থীরা বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু গ্রামে এখনো অনলাইন ক্লাস সেভাবে নিশ্চিত করা পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। তাই করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে সংক্রমণ বন্ধ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শিক্ষার্থীদের জন্য এঙ্ট্রা কেয়ার ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারের এত উদ্যোগের মধ্যেও একটি অসাধু মহল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ শিক্ষা পরিবারের সবাইকে ঝুঁ-কির মধ্যে ফেলতে চাচ্ছে। ওই মহলটি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বার্তা পাঠাচ্ছে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং ১৫ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষাও শুরু হবে। মূলত কোচিং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্তরাই এসব চাপ সৃষ্টি এবং গুজব ছড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য তারা কিছু অখ্যাত অনলাইন পোর্টালে সংবাদ পরিবেশন করছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে তারা তৎপর। সমপ্রতি একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ঢাকার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষক ছাত্রদের ক্যাপ্টেনকে বলেছেন ১৫ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন তৈরি করতে বোর্ডকে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে জুনের ১০ তারিখ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ চার কোটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির প্রার্দুভাব অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সংকট মোকাবিলার কার্যক্রম সমন্বয়ে গত ২৭ এপ্রিল সকালে গণভবন থেকে রাজশাহী বিভাগের জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন একটাও খুলবে না। অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবই বন্ধ থাকবে যদি করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব অব্যাহত থাকে। যখন এটা থামবে তখন আমরা খুলবো।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন দৈনিক জনতাকে বলেন, রমজান এবং ঈদের ছুটির সঙ্গে এই ছুটিটা মিলিয়ে নিয়েছি। এরপর অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেবো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে সচিব বলেন, খোলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

গত ৬ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোরাম ফারুক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯)বিস্তার রোধকল্পে এবং শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ) বন্ধের সময়সীমা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি না যাওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা উচিত হবে না বলে মনে করেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি কমে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ঠিক হবে না। আমাদের সন্তানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা শ্রেণিকক্ষে সম্ভব হবে না। কারণ ক্লাসরুম বড় না, সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন না খোলা হয়। সরকারের কাছে আরো অনুরোধ জানিয়ে এই অভিভাবক নেতা বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি মওকুফ করতে হবে। এবছর শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারেনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতে ৮০ শতাংশ অভিভাবক বেকায়দায় আছেন। অন্য খাতের মতো শিক্ষাখাতেও প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষকদের টিকিয়ে রাখতে হবে বলে মনে করেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি দুলু। সবশেষ সিদ্ধান্তে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। আর এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে ছুটি শুরু হয়েছে ২৫ এপ্রিল। করোনায় ছুটির কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এসএসসির ফলও এ মাসে দিলেও, এখনো এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারত সূচিতে শুরু করা যায়নি। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জিতে সরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পবিত্র রমজান, মে দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমা, বৈশাখি পূর্ণিমা, শব-ই-কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ মে ছুটি রয়েছে। ার এসব দিবস ও উৎসব উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি রয়েছে ২৫ এপ্রিল হতে ২৮ মে পর্যন্ত।

বার্ষিক পরীক্ষা পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে যেতে পারে:

করোনা সংক্রমণরোধে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুটি বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। একটি হলো- করোনার আক্রমণ শেষ হলে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া। সকল ছুটি বাতিল করে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা। অপরটি হলো- ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের (২০২১) ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি)। এনসিটিবির শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞরা প্রথম বিকল্পের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে সিলেবাস কমানোর বিপক্ষে তারা। প্রয়োজনে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেবাস শেষ করার মত তাদের।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, প্রতিটি শ্রেণির সিলেবাস ওই শ্রেণির নির্ধারিত দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জন করে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য। সিলেবাস কমানো হলে নির্ধারিত জ্ঞান অর্জন সম্ভব হবে না। এতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এছাড়া তাড়াহুড়ো করে সিলেবাস শেষ করলে শিক্ষার্থীরা সেটি ধারণ করতে পারবে না, অনেকের পরীক্ষার ফল খারাপ হবে। তাই তারা শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর পক্ষে। এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি নির্ধারণ করতে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। মূলত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দুটি প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু কবে নাগাদ করোনার প্রকোপ শেষ হবে আর কবে স্কুল-কলেজ খুলবে, সেটি আমরা মোটামুটি একটা ধারণা না পেলে সামনে এগোনো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও বৈঠক হবে। তিনি বলেন, যদি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দেয়া হয়, তাহলে এনসিটিবির প্রস্তাব ছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেরুয়ারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। ফেব্রুয়ারিতেই বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা নেয়া। এতে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়ে ও শিখে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হতে পারবে। আর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের মার্চ থেকে শুরু করা। আগামী শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমিয়ে ১০ মাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করা। তবে বিকল্প প্রস্তাবও এসেছে। সেখানে ২০২০ সালের মধ্যেই সব পরীক্ষা শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা ও ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে, সেটা মোটামুটিভাবে জানতে পারলে এনসিটিবি চূড়ান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে আমরা কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বিষয়টিগুলোতে নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে রমজান ও ঈদের ছুটির পর ১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। এরপর কার্যকারী পরিকল্পনার ওপর মতামত নিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। রোজা ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। গত মঙ্গলবার (৫ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *