স্টাফ রিপোর্টার- লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর- আংশিক সদর) আসনে প্রচারে এগিয়ে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের প্রচারে বাধা দেয়ার মধ্যে দিয়ে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলছে। প্রার্থীসহ কর্মীরা লিফলেট নিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের কাছে উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগ নৌকা প্রার্থী এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি তাঁর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে আবারও নির্বাচিত করতে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে সবা সমাবেশ করে ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছেন। এদিকে সাবেক এমপি পাপুলের সহধর্মিণী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ঈগল প্রতিকে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পূর্বের মতো গ্রাম-গঞ্জের মানুষের নিকট ভোট প্রার্থনা করছেন। তিনিও তাঁর স্বামী পাপুলের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার লক্ষে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। এতে প্রতিপক্ষের থেকে বাধা পাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
এ আসনে মোট প্রার্থী ১৩ জন। এর মধ্যে সাবেক এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এবারও নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। রাজনৈতিক দল মনোনীত আরো প্রার্থীরা হলেন, জাতীয় পার্টির বোরহান উদ্দিন মিঠু, জাসদের মো. আমীর হোসেন (মশাল), তৃণমূল বিএনপির আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির জহির হোসেন (একতারা), বাংলাদেশ কংগ্রেস জোটের মো. মনসুর রহমান (ডাব), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. মোরশেদ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. শরিফুল ইসলাম (মোমবাতি), মুক্তিজোটের মো. ইমাম উদ্দিন সুমন (ছড়ি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. ফরহাদ মিয়া (হাত ঘড়ি)। একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম (ঈগল)। তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে লাঙ্গল ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারণা দেখা গেলেও অন্য প্রার্থীদের প্রচার- প্রচারণা তেমন দেখা যায়নি এখনো। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অনুউপস্থিততে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে এ আসনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে নৌকা এবং ইগল মার্কার প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল প্রতিদন্ধীতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে ঈগল প্রতিকে সতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম বলেন, আমি যে এলাকাতে নির্বাচনী প্রচারনায় যাই, সেখানে নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা নানান ভাবে বাঁধা প্রদান করে আমার পোস্টার ছিড়ে ফেলে, আমার কর্মীদের বিভিন্ন রকমের হয়রানি করে, এমনকি নারী কর্মীদের শরীরের স্পর্শ করে লাঞ্চিত করে।
এই বিষয়ে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে থানায় এখনো কেহ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই বিষয়ে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার কোন কারনেই নাই। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ন (পিচফুল), অবাধ, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন আমরা ইনশাআল্লাহ লক্ষ্মীপুর বাসিকে উপহার দিব।