লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার এলাকায় সনাতনী সম্প্রদায়ের জন্য শ্মশান করা জরুরি
লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী -লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার এলাকায় সনাতনী (হিন্দু) সম্প্রদায়ের জন্য একটি শ্মশান করা অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে।
জানা যায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১,২,৩,৪নং ইউনিয়ন ও রায়পুর উপজেলার ৪ এবং ৭নং ইউনিয়নসহ লক্ষ্মীপুর পৌর পশ্চিম এলাকার কিছু অংশের বসবাসকারী সনাতনী সম্প্রদায়ের (হিন্দু) লোকজন বিভিন্ন কারনে গ্রামের বসত বাড়ি,জমা জমিন বিক্রী করে শহর ও উপশহর মুখি হয়ে ২/৩/৪ শতাংশ সম্পত্তি কিনে বা ভাড়া বাসায় বছরের পর বছর বসবাস করে চলছে। তাদের থাকার ব্যবস্থা হলেও মৃত্যুর পরে শেষকৃত্ত সম্পন্ন বা শবদাহ করার মত কোন ব্যবস্থা নাই।
যার ফলশ্রুতিতে মৃত্যুর পরে মৃতদেহ ঘরে রেখে শবদাহ করা বা সমাধি দেয়ার জন্য বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। এ অবস্থায় সঠিক দিক নির্দেশনাসহ শবদাহ বা সমাধি করার জন্য সনাতনীদের একটি শ্মশান এবং শিবমন্দির স্হাপন করা অতিব জরুরি হয়ে পরেছে। উল্লেখ্য শ্মশান করতে হলে শিবমন্দির থাকাসহ ধর্মীয় নিয়মনীতি মোতাবেক করার নিয়ম রয়েছে।
এই বিষয়ে পশ্চিম লক্ষ্মীপুর কামান খোলা হাই স্কুলের নৈশপ্রহরী তপন দাস বলেন, গত বছর আমার বাবার মৃত্যুর পর দাহ করার জন্য কতজনের নিকট ছুটেছি এক খন্ড জমির জন্য, লক্ষ্মীপুরের কেহই দাহ করার স্থান দিলেন না। অবশেষে নোয়াখালীতে নিয়ে বাবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাহ করি।
এই বিষয়ে উপশহর দালাল বাজারের বিশিষ্ট স্বর্ন ব্যবসায়ী তপন সরকার বলেন, দালাল বাজার উপশহরে বহু সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। তারা গ্রাম থেকে নিরাপত্তার জন্য উপশহরে এসে মাথা গোজার জন্য দুই-তিন শতক জমিন কিনে বাসা করে থাকছে অথচ মৃত্যুর পর শবদাহ করার কোন ব্যাবস্থা রাখেনি। তাই মৃত ব্যাক্তিকে ঘরে রেখে দাহ করার জন্য বিত্তবানদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়। তরজন্য এই অসহায়দের পক্ষথেকে জেলাপ্রশাসক মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন,একটি শ্মশান ঘাট করে শবদেহ দাহ করার সুযোগ করে দেওয়ার বিনিত প্রার্থনা করছি।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার জেলাপ্রশাসক সুরাইয়া জাহান মহোদয়ের সাথে আমাদের এপ্রতিবেদক দৈনিক জনতার স্টাফ রিপোর্টার ভি বি রায় চৌধুরী কথা বল্লে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে উপরোক্ত বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন বলে এপ্রতিবেদককে জানান।