ভিবি নিউজ ডেস্কঃ-লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ২ নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন নন্দলালপুর গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে ৮ বছরের শিশু কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নূরানী মাদ্রাসার শিক্ষক ও নন্দলালপুর গ্রামের মসজিদের ঈমাম সাদ্দামের বিরুদ্ধে। তারি সাথে সাথে ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে বৈঠক করে ৭৫ হাজার টাকা রায় প্রদান করেন এলাকার ১.)জালাল পাঠানের ছেলে বাতেন পাঠান(২) ঈমাম হোসেন হাওলাদারের ছেলে ওমর হাওলাদার (৩) আলী আহম্মদের ছেলে কামাল৷ (৪) শফিউল্লাহর ছেলে সুমন (৫) নুরআমিনের ছেলে রনী,আলম সহ প্রমুখ।
বর্তমানে ভিকটিম ও তার অভিভাবক লক্ষ্মীপুর সদর থানায় আছেন। অভিযুক্ত ঈমাম সাদ্দাম হোসেন কে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার চৌকস পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে যারা ৭৫ হাজার টাকা রফাদফা করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিবেদককে জানিয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) শিপুন বড়ুয়া।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভিকটিম জান্নাতের পরিবার সূত্রে জানা যায় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ১৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় আট-দশজন মাতাব্বর একটি বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে জান্নাতের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা নগদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি গনমাধ্যম ও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসার পরপরই আইনি ব্যবস্থা নিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিকটিম জান্নাতকে থানা নিয়ে যায় পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত সাদ্দাম পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত সাদ্দাম, মুজিবুল হক হাওলাদারের পুত্র। তার বাড়ি ২ নং দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আলিপুর গ্রাম। সে নন্দলালপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম সাদ্দাম।
এই নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ২ নং দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের অধিবাসী, লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ আবুল কাশেম। তিনি বলেন হীরামনি ধর্ষণের ঘটনা যেমন দেশ ব্যাপি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি ভাবে এই বিষয়টিও গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তুলে ধরে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য অনুরোধ করেন।
এই বিষয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার ড, এএইচ এম কামারুজ্জামান বলেন, উপরোক্ত বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি, ধর্ষক পালিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় আনা হয়েছে। যারা রফাদফা করেছে তাঁদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।