লক্ষ্মীপুর থেকে সাত / আটটি কোম্পানির বিভিন্ন বেসরকারি বাসে করে হাজার হাজার যাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম অভিমুখি হন। লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী-কুমিল্লা -ঢাকা এবং লক্ষ্মীপুর – চৌমুহনী – ফেনি – চট্টগ্রাম ব্যাস্ততম রুটে কয়েক যুগ থেকে বেসরকারি নানান কোম্পানির বাস মালিক সমিতি, সাধারন যাত্রীদের কাছ থেকে বছর বছর ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে ঢাকার ভাড়া ৩-৪ শত টাকা এবং অনুরুপ ভাবে লক্ষ্মীপুর -ফেনি-চট্রগ্রাম রুটেও যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হয়।বর্তমান করোনা কান্তি লগ্নে যাহা দ্বিগুন।
দেখা যায় লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুর হয়ে চাঁদপুর যাতায়তের কোন ভালো গাড়ি না থাকার কারনে জন দুর্ভোগ পোহাতে হয় প্রতিনিয়ত, এদিকে যাত্রীদের চাপও এই জনপদে একটু বেশি, কারন রায়পুর থেকে ঢাকা চেয়ার কোচের ভাড়া ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ শত, তদপুরি সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা, যানযট হলে তো কথাই নাই, লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুর হয়ে চাঁদপুর যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট, সেখান থেকে ঢাকা যেতে নদীপথে সময় লাগে তিন ঘন্টা ত্রিশ মিনিট, যাতায়ত ভাড়াও সাশ্রয়ী হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত বেশি সাধারন যাত্রী চলাচল করায় ভালো গাড়ি না থাকার কারনে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। তাই যাত্রী সাধারনের দির্ঘদিনের দাবী, লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুর হয়ে চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কে সরকারি বি আর টি সি বাস সার্ভিস চালু করা।
এমতাবস্থায় লক্ষ্মীপুর -রায়পুর হয়ে চাঁদপুর ব্যসস্ততম রুটে সরকারি বি আর টি সি বাস সার্ভিস চালু করা হলে অত্র এলাকার বাসযাত্রীরা কম ভাড়ায় নিজেদের গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন, তেমনি ভাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এ রুটে বাস চলাচল করিয়ে লাভবান হয়ে সরকারের রাজস্ব খাতে অর্থ যোগান দিতে সক্ষম হবে এবং লক্ষ্মীপুর এর মানুষের অনেক দিনের আকাঙ্খা পুরন হবে। এব্যাপারে মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারন।