“আল্লাহ সর্বশক্তিমান”
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
“লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা”
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
বিংশ শতাব্দীর দুনিয়া কাঁপানো এক ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানকারী বিশ্ববিনত মহান নেতা, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তান, পৌরম আর পুরুস্কারের হিনায় শোয়ায় সমুজ্জ্বল, দীপ্তিমান সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত বীরপুরু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শ ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ্মীপুর জেলার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আতিথ্য গ্রহণকারী সম্মানিত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃপ, কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও সর্বস্তরের নেতা-নেত্রী-কর্মী ভাইবোনদের | জন উচ্চ অভিনন, প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী আদর্শের বিপ্লবী সন্তানদের দৃপ্ত পদভারে কম্পিত আজ চতুর্দিক। সমুদ্রের ঊর্মিমুখর ফেনিল জলরাশির গর্জনের ন্যায় স্লোগানে স্লোগানে উদ্ভাসিত যৌবনের দার্ঢ্যে উন্মাতাল ও কম্পমান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথায় কীর্তিত-গর্বিত-বন্দিত মেঘনা বিধৌত প্রিয় লক্ষ্মীপুর। এক প্রবল ঝড়ের অভিঘাতে কম্পমান শহর লোকালয় জনপদ। ভিসুবিয়াসের অগ্নিউগারী তপ্ত লাভাস্রোত যেন বেরিয়ে আসছে শত জ্বালামুখ দিয়ে।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আমাদের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই সংগঠনের প্রাণপুরুষ, আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেছিল বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে। বঙ্গবন্ধুর রক্তঋন শোধ করাই আজ আমাদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে আজ আমাদের প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল আসনে সমাসীন।
আওয়ামী লীগ শত সংগ্রমের গৌরব, শৌর্যবীর্ষে গরীয়ান একটি সংগঠন। একবিংশ শতকের চ্যালেঞ্জ মকাবেলায় এই দলকে আরও সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ব যত এগিয়ে যাচ্ছে নানাবিধ সংকটও এত প্রকটরূপ ধারণ করছে। যে কোনও সংকটে- সংগ্রামে তাই দলকে সুসংগঠিত হয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।।
সংগঠনকে যুগোপযোগী ও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে নিম্নলিখিত কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে বলে আমি মনে করি। নেতা-
কর্মীদের বিবেচনার জন্য সেগুলো দফাওয়ারি নিচে তুলে ধরলাম।
নিন্মে ২১ দফা কর্মসূচি দেওয়া হলো:
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
১। নেতা-কর্মীদের আধুনিক চিন্তা-চেতনা সম্পন্ন, প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে হবে।
২। সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রচলিত সকল প্রকার কুসংস্কার ও পশ্চাৎপদতার বিরুদ্ধে নিরন্তর সংজ্ঞান চালিয়ে যেতে হবে।
৩। জনজীবনে সুষ্ট যে- কোনও সমস্যায় জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে, তাদের মধ্যে দাবি-দাওয়াকে সমর্থন করতে হবে ও সমাধানের হাত বাড়াতে হবে।
৪। দলের নীতি, আদর্শ ও কার্যক্রমকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিলেন কাজ করে যেতে বলে।
৫। এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট সভা করে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। স্থানীয়ভাবে তা সমাধান করা না গেলে উপজেলা ও জেলা কমিটিকে অবহিত করতে হবে।।
৬। সংগঠনের মূল শক্তি তৃণমূল। তৃণমূলকে অগ্রাহ্য করে সংগঠন শক্তিশালী হতে পারে না। তাই তৃণমূল কর্মীদের তাই যথার্থ মূল্যায়ন করতে হবে।
৭। যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।।
৮। অসুস্থ দরিদ্র কর্মীদের চিকিৎসা সহায়তা দিতে হবে
দফা -৯
“””””””””””””””
৯। সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম তদারক করতে হবে। সাংগঠনিক কারো কোনও প্রকার শৈথিল্য বা অবহেলা মেনে নেয়া হবে না। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য স্ব স্ব সংগঠনের নেতাদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। |
১০। ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাবে। জাতীয় দিবসগুলোতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অন্তত একজন মুক্তিযোদ্ধা এই সভায় উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বর্ণনা করবে, ছাত্র-ছাত্রীদের এ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবে।
১১। জাতীয় দিবসগুলোতে ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান বেশি বেশি করে বাজাতে হবে।
“১২। অসমাপ্ত আত্মজীবনী” ও “কারাগারের রোজনামচা’ বই দুখানি নেতা-কর্মীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হবে।
১৩। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করতে হবে।
দফা-১৪
স্টাডি সার্কেল/পাঠচক্রের মাধ্যমে কর্মীদের দলীয় ও জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে অভিজ্ঞ করে গড়ে তুলতে হবে। জেলা, উপজেলার নেতাগণ এসব সভায় উপস্থিত থেকে ক্লাস নেবেন। সভায় মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনকেও আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
১৫ দফা-
তৃনমূলে মহিলা সংগঠনকে দৃঢ় সাংগঠনিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রমের সংবলিত প্রচারপত্র পৌঁছাতে হবে।
দফা-১৬
কিশোর-তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করে মাদক ও যাবতীয় অসামাজিক সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
দফা-(১৭) তৃণমূল কমিটিগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করতে হবে।
দফা-১৮
অঙ্গসংগঠনগুলোর সাথে নিয়মিত যৌথ সভার আয়োজন করতে হবে।
দফা-১৯
বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে হবে।
দফা ২০-
পারস্পরিক সম্ভাষণে সালাম/আদাব বিনিময়ের পর জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে
দফা-২১
দলীয় আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক কোনও বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের আসন্ন ২১ নভেম্বর সম্মেলনে
সভাপতি পদ প্রার্থী- বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হয়দার।