নিজস্ব প্রতিবেদকঃ লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৭৫ বছরের মালিকীয়- দখলীয় সম্পত্তি থেকে প্রকৃত মালিককে জোর পূর্বক উচ্ছেদ করার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। এতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি করার অভিযোগ আনা হয়। স্হানীয় পশ্চিম লক্ষ্মীপুর নিবাসী ছৈয়দ আহাম্মদের পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন এ ব্যাপারে ৪ ডিসেম্বর ২৯ শতাংশ জমির মালিকানা নিজেদের দাবী করে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চেয়ে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। ভুক্তভোগীর আবেদনের পেক্ষিতে গত ১১ ডিসেম্বর তারিখের ০৫.৪২.৫১০০.০০৮.৫৮. ০০১.২২- ২২৫৮ স্মারকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জন্য বলা হয়। এতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে কাগজে স্বাক্ষর করেন রেভিনিউ ডপুটি কালেক্টর ইসমত জাহান তুহিন।
ভুক্তভোগী কর্তৃক জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৬৪নং লক্ষ্মীপুর মৌজার সি.এস ৫৬৬নং যাহা এস.এ ৫৪০নং খতিয়ানের ২৯৯০, ৩১৪৮, ২৯৬৪, ২৯৬৫ দাগের ২৯ শতাংশ জমি ১৯৪৭ সনের ১৬ জুলাই তারিখে সাবেক রেকর্ডীয় মালিক সত্যেন্দ্র কুমার গংদের নিকট হইতে ১৬৭২নং রেজিস্ট্রীকৃত দলিলের মাধ্যমে আবেদনকারীর পিতা ছৈয়দ আহাম্মেদ ও দাদী ফুল ভানু মালিকানার মাধ্যমে দখলদার হন। উক্ত সম্পত্তি একপর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক “খ” তফসিলে প্রকাশিত হইলে আবেদনকারীর পিতা ছৈয়দ আহাম্মদ এ ব্যাপারে অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্রুনালে সরকারের পক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসককে বিবাদী করিয়া ২০১২ সনে ২২০নং মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সনের ১০ অক্টোবরের গেজেট মোতাবেক অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ সনের ১৬নং আইনে অধিকতর সংশোধন ক্রমে প্রণীত আইনের ২৮ক ২ এর উপধারা মোতাবেক ২০১৪ সনের ৯ মার্চ তারিখের “খ” গেজেটে তালিকা ভুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আদালত এবিট এর আদেশ দেন। পরবর্তী এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক ৪/২০১৪ আপিল করে। ২০১৪ সনের ২ জুলাই তারিখে এ বিষয়ে আপিল শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত মামলটি খারিজ করিয়া দিলে উক্ত সম্পত্তিতে আবেদনকারী মোঃ নিজাম উদ্দিনের পিতা ছৈয়দ আহাম্মদের পক্ষে মালিকানা নিশ্চিত হয়।
ভুক্তভোগীের পুত্র মোঃ নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যম কর্মিদের বলেন, এলাকার কিছু কুচক্রী মহল স্হানীয় দালাল বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তাকে হাত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমাদের মালিকীয় ও দখলীয় ২৯ শতাংশ জমি থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে ভুল বুঝায়। এতে করে গত ৩ ডিসেম্বর উক্ত সম্পত্তি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিক জানিয়ে যায়।
স্হানীয় আবুল হাসেমের পুত্র লেপতোশকের দোকানদার কবির হোসেন, হারুন মিয়ার পুত্র কাঁচামাল বিক্রেতা রবিন হোসেন
এতে করে ভুক্তভোগী বাদ্য হইয়া আদালতের আশ্রয় নিয়ে ১৫৮/২০১৪ বন্টনের মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
এ বিষয়ে দালাল বাজার ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলী হোসেন সিরাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নাই, অভিযোগ দিয়ে থাকলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।