লক্ষ্মীপুরে সৈয়দ আবুল কাসেমের অর্থায়নে সড়কের খানাখন্দ স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার

মিজানুর শামীমঃ লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন সড়কের বেহাল অবস্হা। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে চলাচলকারী লোকজনের মধ্যে অসন্তোষের বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। তাই বাদ্য হয়ে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে এর সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে।

এতে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুরে স্হানীয়দের সাথে নিয়ে ৬ জুলাই সোমবার স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার খানা-খন্দ ভরাট করার কাজ নিজ অর্থায়নে শুরু করেন ঐ এলাকার কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য সৈয়দ আবুল কাসেম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার দালার বাজার থেকে রামগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন জায়গা চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এ সড়কটি নির্মাণ বা সংস্কার কাজ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে করায় ৩/৪ মাস পরে ভেঙে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে বিপদজনক অবস্হা ধারন করে। এতে প্রায় সময়ই এ সড়কে নানানরকম দুর্ঘটনা ঘটে।

এই রাস্তায় চলাচলকারী নন্দনপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, আমাদের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি নির্মাণ/সংস্কার করাকালীন সব সময় চরম দুর্নীতি হয়। টেন্ডার অনুযায়ী কাজ হয় না। এতে করে লাভ হয় রাস্তা নির্মাণ/সংস্কার সংশ্লিষ্ঠ দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে রাস্তাটির করুন অবস্হার কথা অনেকবার বলার পরেও তারা এব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না।

আরো জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে রামগন্জ, রায়পুর ও সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের হরেকরকম মালামাল পরিবহন করা হয়। খানাখন্দের কারণে তাদের এ পথে চলতে সব সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।


অবশেষে স্থানীয় গঙ্গাপুর নিবাসী বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৈয়দ আবুল কাশেমের অর্থায়নে এলাকার ১৫/২০ জন যুবক স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটিতে চলাচল টিকিয়ে রাখতে নিজেরা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। তারা ৫ জুলাই সোমবার দালাল বাজার-রামগন্জ এ সড়কের নন্দনপুর-গঙ্গাপুর অংশের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ নিজেরা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, রায়পুর-রামগন্জ ও লক্ষ্মীপুর সদরে যাওয়ার গুরুত্বপুর্ণ বেহাল সড়কটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার এলজিইডি প্রকৌশলীকে বললেও তিনি কর্নপাত করেনি। তাই নিজের টাকা দিয়ে এলাকার যুবকদের সাথে নিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করে দিয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *