এর আগে জসিম নামে এক প্রবাসীর সাথে বিবাহ বন্ধনে ছিলেন ১০/১২ বছর। জসিমকে নিয়ে কয়েক বছর সোদি আরবে আনন্দ ফুর্তি করেন রুপা। সেখান থেকে বেশ অর্থ হাতি নিয়ে শশুর বাড়ীতে না গিয়ে নিজ বাবার বাড়ীতে পাড়ী জমান রুপা। বাবা শাহজাহান বিদেশে, মা একা, অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা, ডাক দেয়ার মতো কেউ নেই। এই সুযোগটা কাজে লাগায় এই রুপা নামের মেয়েটি।
এবার বাবার বাড়ীতে ইব্রাহিমের ছেলে প্রবাসি মোহশীনকে টার্গেট করে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাঝে মধ্যে কথোপকথনে মোহশিনকে কাবু করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে রুপা। সোদি থেকে মোহশীন আসার পরপরই মোহশীনকে নিয়ে উধাও হয় সবার অজান্তে ।
শনিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা দালাল বাজার ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে ৩নং ওয়ার্ডে জমদ্দার বাড়ীতে এই ঘটানাটি ঘটেছে ।
রুপার পিতা মোহাম্মদ শাহাজাহান এবং মোহশিন পিতা মৃত: ইব্রাহিম, তারা একই বাড়ীর বাসিন্দা।
এদিকে প্রবাস ফেরত ছেলে মোহশিন বিবাহিত নারি রুপার পরকিয়ায় আসক্ত হওয়ায় খবর শুনে বিধবা মায়ের কান্নায় আহজারিতে অসুস্থ হয়ে বিছানায় কাতর ।
প্রবাসি মোহশিনের মা বলেন, আমার ছেলে মোহসিন সৌদি থেকে এসেছে ৫/৬দিন হয়েছে। ছেলের অনুমুতি নিয়ে দালাল বাজার একটি বাড়ীতে বউ ঠিক করেছি বিয়ের বায়নাও করা হয়েছে। এরই মধ্যে পাশের ঘরের বিবাহিত মহিলা রুপা অসৎ প্ররোচনা করে আমার ছেলেকে আকৃষ্ট করে ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলের মা আরো বলেন, রুপা বয়স্ক একটি বিবাহিত মেয়ে। জসিম নামে এক প্রবাসির সাথে ১০/১২ বছর পুর্বে বিয়ে হয়েছে। জসিম ছুটিতে বাড়ীতে আসলে সে জসিম কে সময় দিত, জসিম ছুটি শেষে বিদেশ চলে গেলে রুপা তার বাবার বাড়ীতে চলে এসে উশৃংখল যুবক ছেলেদের সাথে বেপরোয়া পর্দাহীন চলাফেরা করতো। রুপা নামে এই অসৎ মেয়েটি শেষ পর্যন্ত আমার ছেলের জীবনটাও নষ্ট করে দিলো, যাহা আমার ছেলে বুঝে উঠতে পারছেনা। রুপা যেহেতু প্রবাসিদের টার্গেট করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তেমনি এই মেয়ে আমার ছেলের টাকা পয়সা নিয়ে অন্য ছেলের হাত ধরতে বিন্দু পরিমান দ্বিধাবোধ করবে না। যেমন করেছিল আগের স্বামি প্রবাসি জসিম এর সাথে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রুপার মা আমাদের এপ্রতিবেদক কে বলেন রুপা সাথে মোহশিন আছে। রুপা ৪/৫ মাস আগে পুর্বের স্বামী জসিম কে তালাক দিয়েছে। এই বিষয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা রুপার মায়ের নিকট তালাক নামার কাগজ দেখতে চাইলে তিনি কোন কাগজ দেখাতে পারেন নি।