সংবাদ শিরোনামঃ
জনগনের সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই নিরাপদ খাদ্য রায়পুরে  সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে লুটপাট ও মাছ ঘাট দখলের অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উপশহর দালাল বাজার ইউনিয়ন বিএনপির মাধ্যমে পানিবন্ধীদের ত্রান বিতরন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীদের নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন “ লক্ষ্মীপুরে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শিক্ষক- কর্মচারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের মুমূর্ষু শিশু শুভমকে নতুন জীবন দিয়েছেন ভারতের ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মণ কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরে সরকারি ঔষধ ফার্মেসিতে! এযেন সর্ষের মধ্যে “ভুত “ লক্ষ্মীপুরে কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত অবশেষে লক্ষ্মীপুরে বাল্য বিবাহ রোধে অগ্রনী ভূমিকা রাখলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জোবায়েদা খানম শিমুল সাহা, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত লক্ষ্মীপুরে গ্রামীন সড়কে ড্রামট্রাকে  মেম্বারের বালু ব্যবসা, জানতে চাইলে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি মামলা দেয়ার হুমকি রায়পুরে কিশোরী অপহরণ মামলায় দীপেন ও জহির গ্রেপ্তার  লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ, নির্গত দুর্গন্ধ ও ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ লক্ষ্মীপুরে শিক্ষক- শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে বিদায়ী জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের স্মৃতি কথা, ভি বি রায় চৌধুরী

লক্ষ্মীপুরে বিদায়ী জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দের স্মৃতি কথা, ভি বি রায় চৌধুরী

লক্ষ্মীপুর থেকে -ভি বি রায় চৌধুরী –
লক্ষ্মীপুরে জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ মহোদয় প্রায় ৩০ মাস পূর্বে জেলাপ্রশাসক হিসাবে বাবু অঞ্জন চন্দ্র পাল (জেলা প্রশাসক) মহোদয়ের কাছ থেকে দায়ীত্ব ভার বুঝে নিয়ে প্রথমে সূধীজন ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করেন। লক্ষ্মীপুরে অসংগতি এবং ঘাটতি বিষয়ক প্রসংগ গুলো নিয়ে জেলাপ্রশাসনে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরবর্তীতে উপরি মহলে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে লিখেন। সেখান থেকে আশ্বাস পেয়ে তিনি লক্ষ্মীপুরের চারটি সংসদীয় আসন,রামগঞ্জ ১ আসন,রায়পুর ২ আসন, লক্ষ্মীপুর সদর ৩ আসন ও রামগতি ৪ সংসদীয় আসন কে সুনিপুণ হস্তে মনের মাধুরী মিশিয়ে এবং লক্ষ্মীপুর সদরের বিভিন্ন অঞ্চলকে সাজিয়েছেন। তরমধ্যে লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার খোয়াসাগর দীঘি ও দালাল বাজার জমিদার বাড়ি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে দর্শনীয় স্থানে পরিনত হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দাবীদার জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয়।
আমি ভি বি রায় চৌধুরী কে তিনি রায় সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। আমি যখনই জেলা প্রশাসক মহোদয়কে মোবাইল ফোনে ফোন করেছি, তিনি শত ব্যাস্ততার মাঝেও আমার ফোন রিসিভ করতেন। মাঝে মধ্যে ধরতে না পারলে পরবর্তীতে ফোন বেক করতেন। উপশহরে অসহায়দের জন্য করনাকান্তি লগ্নে আমার অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা অভুক্ত জনগণের পাশে ত্রান সামগ্রী নিয়ে নিজেই হাজির হয়েছেন। সড়ক দূর্ঘটনা, বিদ্যুৎতের সটসার্কিটে আগুন লেগে পুড়ে যাওয়া, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ প্রদান, বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ, কালভাট,ও গ্রামীণ মেঠোপথের যাতায়তের সেতু পুনঃসংস্কার এবং বিভিন্ন উন্নয়নে যখনি উনার কাছে গিয়েছি, তিনি কখনোই বিমূখ করেন নি। এখানে বলে রাখা দরকার, উনার লক্ষ্মীপুরে জেলাপ্রশাসক হিসাবে ৩০ মাস কালিন সময়ে আমি কখনো নিজের জন্য কিছুই চাইনি। আমিও জমিদারের সন্তান, আমার পূর্বপুরুষের মতো কাহারো থেকে নিতে শিখিনী, দিতে শিখেছি।
আমার দেখা মতে জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ একজন সৎ, নির্ভিক, বহুগুনে গুণান্বিত, মিষ্টিভাসি, দুর্নীতি মুক্ত একজন জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন নিয়োগে বাণিজ্য রোধ করেছেন। নেতাদের অনৈতিক অনুরোধ উপেক্ষা করায় কিছু সমাজপতি দের বিরাগভাজন হয়েছেন। লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার জমিদারদের অবর্তমানে অতি উৎসাহী দালালরা রয়েই গেছে, তারা বিভিন্ন ভাবে মামলা করে জমিদারদের রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিজেদের নামে কাগজ পত্র করায় জেলাপ্রশাসন বাজারে ব্যাবসায়ী দের জন্য বহুতল ভবন করার জায়গা অপ্রতুল। গত ২২ মে২০২৩ ইং তারিখে জেলাপ্রশাসকের সরজমিনে উপস্থিত না থাকার পরেও অর্থাৎ উদ্বোধক ছাড়াই উদ্বোধন হয়েছে শিরোনামে নিউজ হওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উক্ত স্তম্ভে কালো কাগজে বেষ্টনী করে রাখা হয়। এবিষয়ে তিনি বলেন এখানে দুষ্ট মনের মানুষে ভরপুর।
জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো নতুন জেলাপ্রশাসক সমাপ্ত করবেন বলে লক্ষ্মীপুর বাসির একান্ত দাবী। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর উপশহর দালাল বাজার খোয়াসাগর দীঘির পূর্ব পাড় ও দক্ষিণ পাড়, পশ্চিম এবং উত্তর পাড়ের মতো সুন্দর্য্য বৃদ্ধি করা।

জেলা প্রশাসকের বদলী জনিত বিদায়ে লক্ষ্মীপুর বাসি সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মনের মানুষকে হারালো। শুনেছি জনাব সুরাইয়া জাহান যিনি লক্ষ্মীপুরে নতুন জেলাপ্রশাসক হিসাবে দায়ীত্ব ভার গ্রহন করতে যাচ্ছেন তিনিও একজন আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয়ের মতোই ভালো মনের মানুষ। কবির ভাষায় বলতে হলে “যেতে নাহি দিব হায়, তবুও যেতে দিতে হয়। ডিসি স্যার বলেছেন আমার মোবাইলে প্রয়োজনে ফোন দিবেন, এমন কথা কয় কয়জনে ? লক্ষ্মীপুর বাসি জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয়কে দীর্ঘদিন মনে রাখবে।
আমি জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয়ের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুর জন্য পরম করুনাময়ের নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি।


© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developer: Tanveer Hossain Munna, Email : tanveerhmunna@gmail.com