ভিবি নিউজ-বায়েজীদ ভুঁইয়ার করোনা পজেটিভ হওয়ার পরের কিছু কষ্টের কথা শেয়ার করলেন আজ ভিবি নিউজ কে যা সরজমিন ঘুরে এসে আমাদের এপ্রতিবেদক জানান।
তিনি বলেন করোনা পজেটিভ হওয়ার আগে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ ঘন্টা আবার কোন দিন ১৮ ঘন্টাই পথে ঘাটে ঘুরেছি মানুষের বাড়িতে গিয়ে মানুষের খোজ খবর রাখার চেস্টা করেছি এভাবে টানা ২৪ দিন পরিশ্রম করে যখন নিজে করোনা পজেটিভ হলাম তখন অনেক বাস্তবতা দেখতে শুরু করলাম- নিজের আপনজন আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে লাগলো যেন আমার আর আপন জনের মাঝে বিশাল দূরত্ব, করোনা সবাইকে আমার থেকে দূরে দূরে অনেক দূরে নিয়ে গেছে! সবাই দূরে থেকে শুধু খোজ খবর নিচ্ছে কেউ মনের কষ্ট বুঝতে চায়না।
তিনি আরো বলেন আমার হাই প্রেসার প্রতিদিন প্রেসার অনেক হাই থাকে সিভিল সার্জনকে বলার পরে রায়পুর থেকে একজন ডাক্তার পাঠিয়েছেন যিনি অনেক দূরে থেকে কথা বলে যা শুনা যায়না টিকমতো, পরে ডাক্তারের সাথে মোবাইলে কথা বলতে হয়েছে। যে ডাক্তারকে পাঠানো হয়েছে প্রেসার মাফার জন্য সে যদি এতোটা দূরত্ব ম্যান্টেইন করে শরীর ধরে কাছে এসে প্রেসার না মাফে বুকের হার্টবিট চেকাপ না করে তাহলে তার আসারই বা কি দরকার ছিলো।
কাশের কারনে প্রচন্ড বুকে ব্যথা ডাক্তার এসে বুকটা একটু ধরেও দেখলোনা!
তিনি বলেন সবাই বলে মনোবল ঠিক রাখেন তাহলে সুস্থ হয়ে যাবেন যদি সবাই এমন ব্যবহার করে তাহলে একজন রোগী কিভাবে মনোবল ঠিক রাখবে! উল্টো মানষিক যন্ত্রনা কাজ করে আস্তে আস্তে নিজের মাঝেই ভীতি কাজ করে নিজের বাঁচার স্বপ্নটাও হারিয়ে যায়।
তিনি বলেন আমি মানুষের সেবা করেছি আল্লাহ হয়তো আমাকে এই রোগ দিয়েছেন আমাকে পরিক্ষা করার জন্য।
বায়েজীদ ভূইয়া বলেন আল্লাহ যেন এই রোগ আমার শত্রুকে ও না দেয় কারন এই রোগ হলে দেখা যায় মানুষ মৃত্যুকে কতোটা ভয় করে কেউ কাছে আসতে চায়না সবাই দূরে দূরে থাকে রোগের সংক্রামনের ভয়ে। তিনি বলেন কেয়ামতের দিন যেমন সবাই ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি করবে মা চিনবেনা নিজের সন্তানকে সন্তান চিনবেনা পিতা মাতাকে সেটা করোনায় দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
রোগ হওয়ার পরে কেউ পাশে থাকেনা সবাই শুধু দূরে সরে যেতে চায়।
যখন ডাক্তার সুরক্ষা পোষাক পরেও রোগীর কাছে যেতে চায়না তখন
সাধারণ মানুষের কথা আর কি বলবো, ডাক্তার রোগীকে চিকিৎসা করতে ভয় পায় তখন রোগীর মানুষীক অবস্থার কি হয় তা শুধু ভূক্তভোগী করোনা রোগীরাই বলতে পারবে।