মিজানুর শামীম বিশেষ প্রতিনিধি- লক্ষ্মীপুর পৌরসভা এলাকায় বাড়ী-বাড়ী গিয়ে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন কর্মসূচি চলার খবর পাওয়া গেছে। ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আমজাদ পাটোয়ারি বাড়ীতে সরেজমিনে গিয়ে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের শিশুদের এ টিকা দিতে দেখা গেছে। এতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিন আরজুর নেতৃত্বে হাম -রুবেলা ২০২০ টিকাদান ক্যাম্পেইনে উপস্হিত থেকে শিশুদের টিকাদান করেন পৌরসভার পরিবার কল্যাণ সহকারী স্বপ্না রানী দাস, সহযোগিতায় ছিলেন সদর উপজেলার চররুহিতা (কড়াইতলা ক্লিনিক) ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী বীথিকা রানী মজুমদার। এসময় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সাথে ছিলেন যুব রেড ক্রিসেন্ট লক্ষ্মীপুর ইউনিটের ব্লাড গ্রুপের প্রধান -মো. আবুল খায়ের আকাশ, সদস্য- সাজ্জাদুল আলম, সদস্য – খালেদ সাইফুল্লাহ তারেক।
জানা গেছে, সারাদেশের মত লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকাতে হাম-রুবেলা টিকাদান (এমআর) ক্যাম্পেইন ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে। পৌরসভার সকল ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ী-বাড়ী গিয়ে এ কার্যক্রম আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) মিলনায়তনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের কারণে দেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে, এবার হাম-রুবেলা মুক্তও হবে।
আমরা শিশুদের দশটির মতো টিকা দিয়ে থাকি। টিকা দানের মাধ্যমে আমরা দেশকে পোলিও মুক্ত করতে পেরেছি। টিকা দানের সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো খেতাব পেয়েছেন। এখন দেশকে হাম-রুবেলা মুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, টিকা স্বাস্থ্য খাতের অনন্য ব্যবস্থা। টিকা নিলে স্বাস্থ্যের ওপর চাপ কমে, অসুখ কম হয়। টিকার কারণে মানুষের আয়ুও বেড়েছে। দেশের ৯০ শতাংশ শিশুকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। শিশুদের প্রতি আমাদের যত্নশীল হতে হবে। শিশুরা আমাদের প্রিয়জন, তাদের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব অভিভাবকদের। আমরা টিকা দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে পারি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞতিতে জানিয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে শুরু হয়ে ২৪ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ছয় সমাপ্তব্যাপী চলবে এই টিকাদান কর্মসূচি। হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। চলমান করোনা মহামারি বিবেচনা করে দেশে বিদ্যমান শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নিয়মাবলি যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে ক্যাম্পেইনটি চলবে।