লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী : ২০ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরে চেক মামলায় গ্রেফতার কৃত আসামী আবদুল কুদ্দুস (৪৫) নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
জানাযায় ২০ এপ্রিল ২০২২ ইং বুধবার রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান । পুলিশী হেফাজতে আবদুল কুদ্দুসের এ মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমণে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার বাংগাখাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেঘনা রোড এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও ওষুধ ব্যবসায়ী।
আব্দুল কুদ্দুছের আত্মীয় পরিচয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, রাতে তাকে সুস্থ অবস্থায় পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর সাড়ে দশটার দিকে অসুস্থ হয়েছে বলে পুলিশ তাকে হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।
তাছাড়া মৃত্যুর পরে পুলিশের দায়িত্বে হাসপাতাল থেকে মরদেহ তড়িঘড়ি অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এ প্রচেষ্টা থেমে যায়। বিষয়টি নিয়েও প্রশ্নের সৃষ্টি হয় বলে জানান আত্মীয়রা।
এ ঘটনায় পুলিশ জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এতে নির্দেশনা পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে বুধবার(২০ এপ্রিল) রাত পৌনে নয়টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা রোড এলাকার ফার্মেসি দোকান থেকে গ্রেফতার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় আসেন। তাদের উপস্থিতিতেই কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, কুদ্দুস স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান বলেন, একটি চেক মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় কুদ্দুসের স্ত্রী ও স্থানীয় কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।