লক্ষ্মীপুরে পুলিশকে সুরক্ষা দিতে ১০০টি পিপিই দিলেন এডভোকেট নয়ন

ভি বি রায় চৌধুরী-কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস সঙ্কটে সারা বিশ্বের মানুষ আজ দিশেহারা। এই মরন ব্যাধি ভাইরাসের কোন চিকিৎসা না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যাচ্ছে পরপাড়ে।  ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা লাখের উপরে ছড়িয়েছে।

এই মহামারী বিপর্যয়ের মধ্যে সবকিছু নিস্তব্দ। পুলিশ ও আইন-শৃংখলায় নিয়োজিত সদস্য ব্যাতিত  রাস্তায় কেউ নাই। মারা গেলে পরিবারও লাশের পাশে আসেনা। লাশ দাফন, হাসপাতালে নেওয়া বা সর্বোপরী সবকিছুই এই আইন-শৃংখলার বাহিনীকেই করতে হয়।

তাই এই জেলার পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় থাকার লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নের ব্যক্তিগত তহবিলথেকে একলক্ষ টাকা দিয়ে ১০০টি পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুয়েপমেন্ট) দিয়েছেন।

১২ এপ্রিল রবিবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান পিপিএম সেবা মহোদয়ের নিকট এসব পিপিই হস্তান্তর করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো: রিয়াজুল কবিরসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এডভোকেট নয়ন বলেন, বন্ধু হিসেবে পুলিশ সবসময় জনগণের সাথে আছেন ,যেখানে মৃত ব্যাক্তির সাথে তার পরিবারবর্গ থাকছেনা অথচ সেখানে শবদেহের সম্পূর্ণ কাজ সুনিপুণ ভাবে করে যাচ্ছেন এই পুলিশ বাহিনী । এই মহামারী সময়ে সবচেয়ে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন পুলিশ। তাই পুলিশের সুরক্ষার জন্য আমার পক্ষ থেকে ১০০ পিপিই প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও অসহায় মানুষের জন্য আমার পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ অব্যাহত আছে।

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিকট অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে চলছে তাদের কর্মযজ্ঞ। দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রেখেছে নিজেদেরকে।

আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন-পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের৷

সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও করোনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় হয়তো সব জায়গায় পুলিশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়। তবে ইচ্ছা এবং সামর্থের কমতি রাখছেনা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *