ভি বি রায় চৌধুরী – মানুষ প্রতিনিয়ত অবস্থান রত
পরিবেশ প্রতিকূলতায় ব্যাস্ত সময় পার করতে সর্বদা খুঁজে সজিব ও প্রানচাঞ্চল্যকর স্থান ।তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও সুযোগ পেলেই সবাই ছুটে যায় সতেজ ও মনোরম পরিবেশে । যে খানে অতিতের সকল ব্যস্ততার কথা ভুলে গিয়ে এক অপার আনন্দের সমাহারে কিছু সময়ের জন্য চিত্তবিনোদনের মাধ্যমে নিজকে রিফ্রেশ করতে সক্ষম হয়।
মনোরম পরিবেশ আর পর্যটকদের মনমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজার খোয়াসাগর দীঘির পাড়,
হাজিমারা সুইচ গেইট, দালাল বাজার ও কামানখোলা জমিদার বাড়ী ।
কামানখোলা জমিদার বাড়ির বংশধররা বহাল তবিয়তে এখনো কালের স্বাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে। বিভিন্ন মিডিয়ার বদৌলতে জানতে পেরে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন জমিদার বাড়ি ও উত্তরসূরি দের দেখার জন্য, কেন না সারা বাংলাদেশে জমিদার দের অরিজিনাল উত্তরসূরি নেই বল্লেই চলে। আরো দেখা যায় জমিদার বাড়িতে আসার পথ কামান খোলা বাজার থেকে পোয়া কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে দর্শনার্থী দের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে পর্যটক ও এলাকাবাসী।
দালাল বাজার জমিদার দের পরিতাক্ত বাড়ীটি মনোরম পরিবেশ আর পর্যটকদের
মনমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে ।
তৎসময়ে নির্মিত পুরোকৃর্তি , মন্দির ,শ্রী শ্রী
গোবিন্দ মহাপ্রভু শিউ আকড়া ,ইতিহাস ক্ষ্যাত খোয়াসাগর দিঘী, জমিদার বাড়ীর
অন্দর মহলের সৌন্দর্য , পুকুর ঘাট, শিংহ দরজা ,অতিথী শালা , নিরাপত্তা
বেষ্টনি এখনো কালের সাক্ষি হয়ে দাড়িয়ে আছে ।তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও
ছুটির দিন কিংবা বিশেষ কোন দিনে তরুন-তরুনী ,নবদম্পর্তি ও জেলার সর্বত্র
থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষদের পদচারনা ঘটে এই জমিদার বাড়ি ও খোয়াসাগর দীঘির পাড়ে । যদিও দীর্ঘদিন জমিদার বাড়িটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকলেও গত দুই বছর পূর্বে জেলাপ্রশাসনের হস্তক্ষেপে সরকার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আওতায় ছেড়ে দর্শনার্থী দের উপযোগী করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছেন।
মজুচৌধুরীর হাট -যেখান মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠেছে চর , চরের মধ্যে ঘুরে
বেড়ানো মহিষের পাল , ঝাউ গাছের সারিতে মনমুগ্ধ হয়ে উঠে মন । এই খানে
রয়েছে মেঘনা নদীর বিশাল জলস্রোত , সে খানে গড়ে উঠেছে মেঘনা ও রহমত খালী
নদীর সেতু বন্ধন সুইচ গেইট ।যার উপর দাড়িয়ে সূর্যদয় আর গোধুলীর অপরুপ
দৃশ্য দেখে শীতল হয়ে উঠে মন আর অতিতের সকল গ্লানি মুছে দিয়ে যায়
প্রানচাঞ্চল্যকর দক্ষিনা বাতাস, আর যেন হাত ছানিদিয়ে ডাকছে লক্ষ্মীপুরের
অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র।
উপরোক্ত তিনটি স্থানের পরিবেশ প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের আকৃষ্ঠ করে
।লক্ষ্মীপুরেরর সাবেক জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী রামগতি ,মজু চৌধুরীর হাট,মতির হাট ,হাজীমারা ও দালাল বাজার জমিদার বাড়ী সম্ভাবনার এই পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গদের ।
তবে বসে নেই জেলা প্রশাসন , চেষ্টা করে যাচ্ছেন সম্ভাবনার এই শিল্পকে কাজে লাগানোর জন্য ।
লক্ষ্মীপুরের সাবেক জেলাপ্রশাসক বাবু অঞ্জন চন্দ্র পাল দালাল বাজার খোয়াসাগর দীঘির উত্তর ও পশ্চিম পাড় সুন্দর মনোরম পরিবেশে সাজিয়ে দর্শনার্থী দের ঘোরার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এলাকার বিশিষ্ট জন ও ভ্রমন পিপাষুদের অভিমত এবং দাবী এই, সাবেক জেলাপ্রশাসক দের মতো লক্ষ্মীপুরের বর্তমান জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ মহোদয় যেন খোয়াসাগর দীঘির আরো দুই পাড় যথাক্রমে পূর্ব পাড় ও দক্ষিণ পাড় পর্যটকদের জন্য দৃষ্টি নন্দ মনোরম প্ররিবেশে সাজিয়ে দেয়ার দাবি জানান।