ভিবি নিউজ ডেস্কঃ
মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হঠাৎ গোপনে লক্ষ্মীপুরে গমন, উদ্দেশ্য জেয়ারত। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের সাক্ষী রক্তাক্ত বাড়ীতে হৃদয়ের টানে নিরবে ক্ষণিক পদচারণ। কিন্তু গোপনীয়তা অতি টিকলো না। দুর্দিনের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর ভাই এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল জাব্বার লাভলু ভাই সঙ্গ নিলেন। কত স্মৃতি, কত সৃষ্টি এই বাড়ি থেকে!! সুড়ঙ্গ আর গুহার মতো কক্ষগুলো ছিল BNP-জামায়াতের জন্য আতংক। আমার ভাই লিটন হাজারী, পিউ, Nurul Abedin Chowdhury পরানের হাতে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের পতাকা উদ্বেলিত হয়। বিরোধী দলের আমলে সারাদেশ থেকে নির্যাতীত কর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল এই বাড়িটি। মাঝারের মতো বড় বড় পাতিলায় রান্না হতো, একটা লঙ্গরখানা যেনো। জোটের পুলিশ আর সন্ত্রাসীরা প্রায়শ আক্রমণ গুলি-বোমা বর্ষণ করতো। আমরা প্রতিরোধ তুলতাম। গুলিতে-বোমায় প্রকম্পিত হতো জনপদ, যেন নতুন ৭১। আমি গুলিবিদ্ধ। আমার একেক ভাই ৮/১০ বছর করে জেল-জুলুমের শিকার। নেত্রীর অনুকম্পা পেয়েছি সর্বদা। একবার সফরে আমার মা’য়ের হাতের তৈরী পিঠার প্রংসশায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি, ঢাকায় নিয়ে এলেন। সেই মা’কে প্ল্যান করে হত্যা করা হলো। সেই বাড়িটি মিথ্যা স্বাক্ষী আর জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৫ সালে ভাংচুর করা হয়েছে। কারা করেছে? তারা কারা? লক্ষ্মীপুরবাসী সবই জানেন। কিন্তু আমি কোন প্রতিশোধ নিতে চাই না। কারণ জনগণ সেটার জবাব এবং প্রতিশোধ নিয়েছেন আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত করে। আমি নেত্রী এবং যুব কান্ডারী শেখ পরশের সাহচর্য পেয়েছি, আমি গর্বিত। আমাদের সকল ত্যাগ সন্মানিত হয়েছে। তবে একটা কষ্ট এবার অনেক তাড়িত করছে। লক্ষ্মীপুরের কামাল ভাই (বোম কামাল) এর মৃত্যু সংবাদ পেলাম। BNP জোটের হামলায় তার হাতটি আমাদের এই বাড়িতে উড়ে যায়। আমার অশ্রু জলে ভিজে আসে। আমাদের সময়ের অনেক কর্মীই হাইব্রিডদের প্ল্যান গেইমে নিহত হয়েছেন, বাড়ী-ঘর হারিয়েছেন। অনেকে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নির্যাতিত-ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এখন চরমভাবে নিষ্পেষিত-অবহেলিত। কিন্তু অনেকে দলীয় পদবীতে শত কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন, কিছু হাইব্রিড অদ্য ক্ষমতায়। আমি সর্বদাই নির্যাতিতদের দলভুক্ত। আমার প্রাণ ত্যাগীদের জন্য উজাড় থাকবে, আমার কন্ঠ নিষ্পেষিতদের জন্য।