লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরীঃ
আপনার প্রচন্ড জ্বর, আপনি কাশি দিচ্ছেন ঘনঘন ? শরীর প্রচন্ড ব্যথা, কান্নাকাটি করছেন আপনি ? ভয়ে আপনার আপনজনও আপনাকে ছুয়ে দেখছে না।আপনার এ্যম্বুলেন্সে, অক্সিজেন লাগানো। শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে, ছেলে মেয়ের গগনবিদারী চিৎকার! ছুটে বেড়াচ্ছে এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে। বেড খালি নাই,আই সি ইউ খালি নাই!থাকলেও করোনা টেষ্ট করেছেন কি না রিপোর্ট নাই! হতাস ছেলে মেয়ে কি করবে কোথায় যাবে।এদিকে আপনার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে! এ্যম্বুলেন্সেই শুয়ে আছেন আপনি।উৎসুক জনতার ভিড় কেউ ছবি তুলছে,কেউ ফেইসবুকে লাইভ দেখাচ্ছে, অনেকেই দোয়া করছে,অনেকেই আফসোস করছে কিন্তু কেউ কাছে এগিয়ে আসছে না।কিছু সময় পরে আপনার দেহ থেকে প্রাণ পাখি উড়ে গেল। আপনার এ চলে যাওয়া কি অন্য ১০টা মৃত্যুর মত স্বাভাবিক? না আপনার জানাজা অন্য ১০জনের মত হবে না,জানাযায় লোকজন আসতে চাইবেনা,কবরে কেউ নামতে চাইবে না,কিছু সেচ্ছাসেবী সংগঠন, পুলিশ যদিইবা কবরে নামে নতুন এক ধরনের পোশাক পরে আপনার দাফন কাজ শেষ করে পড়নের পোশাক টিও পুড়িয়ে ফেলা হবে।আপনি কি এমন একটা শেষ বিদায় চান?-অথচ আপনি ছিলেন কত সম্মানিত ব্যাক্তি,অনেক টাকা পয়সার মালিক।চলে গেলেন আপনি কোথায় আপনার দোকান খোলার তাড়া,রাস্তায় অযথা আড্ডা,বাহিরে বিনা কারনে ঘোরাঘুরি , দোকানের চাবিটা কোথায় রেখেছেন তাও কাউকে বলে যেতে পারলেন না।আপনি চলে গেলেন এখানেই কিন্তু শেষ নয়, ভাবুন একটু আপনার বাড়ী লকডাউনে, পরিবারের অন্য সদস্যরা আইসোলেসনে,এমনকি যারা আপনার কবরে নেমেছে, আপনার সাথে কে কে আড্ডা দিয়েছে,আপনার সাথে যে সকল লোকজন লেনদেন করেছে তারাও আতংকিত। আর এজন্য সকলে দায়ী করছে আপনাকে অথচ এ সকল কিছু থেকে আপনিই পারতেন নিজেকে এবং পরিবারকে সুরক্ষা দিতে।আপনি একটু সচেতন হলেই এই পরিস্থিতি হয়ত নাও হতে পারত।”হে সকল কিছুর মালিক আল্লাহ”।কিন্তু আল্লাহ পাক আমাদের কে মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন, বিবেক দিয়েছেন। নিজের বিবেবকে কাজে লাগান।
“”স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন,সচেতন হউন,
নিজে সুস্থ থাকুন, পরিবারের অন্য সদস্যদের সুস্থ থাকতে দিন।
“”বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে আসা বন্ধ করুন।””
“আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুন ”
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
জনস্বার্থেঃ -রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল জলিল।