সংবাদ শিরোনামঃ
লক্ষ্মীপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের আগমনে জেলাপ্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের শুভেচ্ছা কমলনগর উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি মোঃ নিজাম উদ্দিনের সুস্থতায় কমল নগরের মানুষের মাঝে আনন্দ অশ্রু বৃহত্তর নোয়াখালী আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২৩ লক্ষ্মীপুর কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ফুটপাত দখলমুক্ত করা প্রয়োজন ঔষধ কোম্পানি গুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ফেরত নিতে গড়িমসি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তারা লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র -গুলি সহ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার, লক্ষ্মীপুর -৩ সদর আসনের নির্বাচনে অনিয়ম রোধে অনুসন্ধান কমিটি লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড,মাকসুদ কামালকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান দুস্থ মানবতার সেবায় এগিয়ে আসা “সমিতি ওমান ” কর্তৃক চট্টগ্রামে ইফতার সামগ্রী বিতরণ লক্ষ্মীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার কে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী স্বরণে মেহেদী হাসান রাসেলের কুরআন ও হাদিসের আলোকে উপস্থাপন  লক্ষ্মীপুরে নতুন পুলিশ সুপার আকতার হোসেন লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা ইকবালের নেতৃত্বে সৌদি প্রবাসীর জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় কদু আলমগীর গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তি

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় কদু আলমগীর গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তি

লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী –

লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলায় আলমগীর ওরফে কদু আলমগীর ওরফে টাকলা আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যায় আলমগীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীর তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ ব্রিফ করে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ মে) রাতে মামলার তৃতীয় আসামি রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক দেওয়া ফয়সাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ঘটনায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, কদু আলমগীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, দস্যুতা, অপহরণ এবং বিস্ফোরণ আইনে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা, নোয়াখালীর চাটখিল থানা এবং চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।

আলমগীর একসময় সন্ত্রাসী লাদেন মাসুম বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। লাদেনের মৃত্যুর পর তিনি বাহিনী পরিবর্তন করেন। নোমান ও রাকিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ নম্বর আসামি আলমগীর। তিনি সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের আবু কালামের ছেলে। তাকে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জবানবন্দিতে আলমগীর জানায়, ২৫ এপ্রিল দুপুর ২টার দিকে দুজন লোক তার বাড়িতে যায়। তখন তাকে জানানো হয় নোমানকে সাইজ করতে হবে। পরে ওই দুজন লোকের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে তিনি নাগেরহাট আসেন। সেখান থেকে তারা বশিকপুরের একটি বড় মাঠে যান। সেখানে আরো ৩০-৪০ জন লোক ছিলেন। তখন একজন লোক তাদেরকে শর্টগান, রিভলবার ও পিস্তলসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র দেয়। পরে ৭-৮ জন করে ৫-৬টি দলে তাদের ভাগ করে দেওয়া হয়। আলমগীরের দলে ৮ জন ছিলেন। এসময় জনৈক ব্যক্তি সবাইকে কার্যক্রম বুঝিয়ে দেন। তবে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নোমানকে হত্যা করতে হবে। এর জন্য টিমগুলো ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে।

ঘটনার আগে কদু আলমগীরের গ্রুপটি ঘটনাস্থলের অদূরে করাত কলের পাশে প্রায় ৪৫ মিনিট ওঁৎ পেতে থাকে। পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে গুলির শব্দ শুনে। এ গ্রুপটি দৌঁড়ে এসে দেখে রাকিব ড়ে আছে। এ সময় োমান পালাতে চেষ্টা করে। তিনজন মিলে তাকে ধরে গুলি করে হত্যা করে। নোমান মারা গেলে তাদের গ্রুপটি নাগেরহাট মাদরাসার সামনে যায়। সেখানে সিএনজি অটোরিকশা ছিল। পাঁচজন সিএনজিতে করে চলে যায়। বাকি তিনজন মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। হত্যাকাণ্ডে সে নিজেও পিস্তল ব্যবহার করেছে। ঘটনা শেষে অস্ত্রগুলো ওই ব্যক্তির কাছে জমা দিয়ে দেয়।

পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভি ফুটেজে কদু আলমগীরসহ যে ৮ জনকে দেখা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় সে পুলিশকে জানিয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি ছিদ্দিক, মংনেথোয়াই মারমা, সোহেল রানা, ডিআইওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া ও সদর মডেল থানা পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মোসলেহ্ উদ্দিন।