স্টাপ রিপোর্টার
লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারনে বিপর্যস্ত জনজীবন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্স ও যানবাহন নিয়ে সঙ্কট রয়েছে, বিপাকে পড়েছেন রোগী ও স্বজনেরা। এ অবস্থায় মানবতার সেবক হয়ে এগিয়ে এসেছেন লক্ষ্মীপুরের সিভিল সার্জন মো. আবদুল গফ্ফার।
৩০ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টা ১৫মিনিট। জেলায় রায়পুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে একজন প্রসূতি মায়ের জরুরী অপারেশন প্রয়োজন।
বেশ কয়েকজন চিকিৎসককে ফোন করে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রসূতীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোথাও চিকিৎসক না পেয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেন সিভিল সার্জনের সঙ্গে।
এর আধাঘন্টার পরই ওই হাসপাতালে উপস্থিতি হন সিভিল সার্জন গফ্ফার।
তিনি এসেই জরুরী ভিত্তিতে করেন ঐ প্রসূতীর সফল অপারেশন। প্রসূতী জন্ম দেন ছেলে শিশু সন্তানের। বর্তমানে ওই প্রসূতী ও তার নবজাতক সুস্থ রয়েছেন।
এরআগে চিকিৎসক না থাকায় জেলার চন্দ্রগঞ্জে রোকসানা আক্তার (২৫) নামের এক প্রসূতীর অপারেশন করে প্রান বাঁচিয়েছেন সিভিল সার্জন গফ্ফার।
তাঁর এমন কর্মকান্ডের কারনে লক্ষ্মীপুর জেলাবাসী সিভিল সার্জন মো. আবদুল গফ্ফারকে একজন মানবিক ডাক্তার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকেই তার প্রশংসা করে দীর্ঘায়ুও কামনা করছেন। জেলার বিশিষ্টজনরা বলছেন, করোনা মহামারীর এ দূর্যোগময় মুহুর্তে জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হয়ে, নানান কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তিনি যেভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা প্রশংসনীয়। চিকিৎসক সমাজের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন অনন্তকাল।