লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরীঃ
প্রতিনিয়ত মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে ফুটপাত দখল। পুরো বাজারে এলোমেলো ভাবে ফুটপাত দখলে নিয়ে হরেকরকম দোকান বসেছে।
ভ্যানগাড়িতে ভাসমান দোকানের ছড়াছড়ি। যত্রতত্র ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক, রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের পার্কিং, বড় বড় ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড-আনলোড।জনতার হাটার রাস্তা প্রায় অবরুদ্ধ। যেখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লার স্তুপ। বাজারের পানি নিষ্কাসনে ড্রেইন গুলো ময়লা আবর্জনা পড়ে বন্ধহয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
ব্যবসায়ী দের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ আলী বলেন এই র্দুগন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা পানির কারনে শুক্রবার, সোমবার বাজার দিন ব্যবসা করতে পারি নি, আরেক ব্যবসায়ী মনির মিঞা বলেন বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর মহিউদ্দিন মাহমুদ কে জানিয়েছি, তিনি বলেছেন একটা ব্যবস্থা করবো। আরেক ব্যবসায়ী ইব্রাহিম আমাদের এপ্রতিবেদক কে জানান এই কাচরা ময়লা পানির র্দুগন্ধের কারনে ক্রেতারা এদিকে কম এসেছেন ফলে বিক্রি কম হয়েছে, কাঁচামাল গুলো ময়লা পানির সংমিশ্রণে পঁচে গেছে, আমরা হয়েছি ক্ষতিগ্রস্ত। আরএকজন ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সুমন বলেন মূলত এই পানিগুলো বাজারে অবস্থিত বহুতল ভবনের লেট্রিনের ও অন্যান্য নিসৃত পাইপের লাইন গুলো বাজারের পানি নিষ্কাসনের ড্রেইনের সাথে সংযোগ করায় আমাদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই বিষয়ে দালাল বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বারবার উপজেলা প্রশাসনের নিকট লিখিত ভাবে জানানোর পরেও হয়নি কোন সুরাহা।
সরজমিন ঘুরে এসে আমাদের এপ্রতিবেদক জানান এ যেন এক অচেনা হিজিবিজি নামের উপশহর। জনসাধারণের চলাচলের পথ সঙ্কুচিত। দোকান ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের ত্রাহি অবস্থা। প্রতিবাদের ভাষা নেই কারো। সবাই যেন অজানা এক আতঙ্কে ভীতসন্ত্রস্ত। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিকার চাওয়ার সাধ্য নেই কারো।
তবে এখানে আছেন নানা গুণিজন, রাজনৈতিক হোমরাচোমরা, আছেন ব্যবসায়ীদের দেখভাল করার কথিত অভিভাবক কমিটি, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা- জেলা প্রশাসন। তবুও নেই কোন নিয়মনীতি, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সচেতন মহল।