লক্ষ্মীপুরবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য সৈয়দ আবুল কাশেম

বিশেষ প্রতিনিধি – লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নের আলহাজ্ব এস এম সাহাদাত উল্যা ও আলহাজ্ব মরহুমা ফাতেমা খাতুনের জেষ্ঠ পুত্র সৈয়দ আবুল কাশেম। ব্যবসার বানিজ্যর প্রয়োজনে ঢাকায় থাকলেও প্রতি মাসেই তিনি পৈতৃক ভূমিতে আসেন এবং গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কর্মকান্ডে সবসময় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মিডিয়ার মাধ্যমে এক বাণীনে সর্বস্তরের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল কাশেম।

শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৬৬ সনে ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষনা দিয়েছিলে বঙ্গবন্ধু। ফলে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি বাড়ে। পাকিস্তান শাসকেরা একে নসাৎ করতে আগরতলা মামলা করে। পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু তখন ফাঁসির প্রহর গুনছিলেন। মামলার প্রধান আসামি বঙ্গবন্ধু সহ অন্যান্যদের মুক্তি ও পাকিস্তানি সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনে ১৯৬৯ সনের ২৪ জানুয়ারি সান্ধ্যআইন ভঙ্গ করে সাধারন মানুষ রাজপথে মিছিল বের করেছিলো। সেই মিছিলে তৎকালীন পাকিস্তানি পুলিশ গুলি চালালে প্রাণ হারান মতিউর, রুস্তুম, মকবুল, আলমগির নামে চারজন। এতে করে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের মধ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। এরফলে স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তখন পিছু হটে নিজে নির্বাচন না করার ঘোষনা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তির আদেশ দেন এবং জাতীয় পরিষদ নির্বাচন ঘোষনা করেন।
১৯৭০ এর জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে প্রচারের লক্ষ্যে ঐ সময় বঙ্গবন্ধু লক্ষ্মীপুরে আসেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আমার বাবা তহবিল সংগ্রহকারী ছিলেন সুবাদে বঙ্গবন্ধু আমাদের গ্রামের বাড়ি গঙ্গাপুরে আসেন তখন। আমি সে সময় দালালবাজার এনকে উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্র এবং স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতিও। আর তখনই ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসাবে বঙ্গবন্ধু আমার মাথায় তার হাত বুলিয়ে স্নেহের ছোঁয়া দিয়ে যান। যা এখনো আমার হৃদয়ে উজ্জল সৃতি হয়ে ভেসে আছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ আবুল কাশেম।
বাণীতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে নির্ভেজাল খাঁটি আওয়ামীলীগার করে গেছেন। তারপর থেকে আমি জাতির জনকের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তারই সুযোগ্য কন্য আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বাংলাদেশের চার বারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তৃর্নমূলে একজন আওয়ামী কর্মী হিসেবে দেশ ও সমাজ গঠনে কাজ করে চলেছি। আমরা চার ভাইয়ের মধ্যে আমি বড়, এরপরে আমার মেজ ভাই – সৈয়দ বেলাল হোসেন (মানিক), অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেবা ও সুরক্ষা বিভাগ। সেজো ভাই – সৈয়দ ইকবাল হোসেন (বাবলু), পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ছোটো ভাই – সৈয়দ কামরুল হোসেন (কিরন), আইনজীবি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
পরিশেষে চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সর্বস্তরের জনসাধারণকে সরকারি আদেশ মেনে চলার জন্য বিনিতভাবে অনুরোধ জানান লক্ষ্মীপুরের এই কৃতি সন্তান আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল কাশেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *