স্টাফ রিপোর্টার-লক্ষীপুরের সদর উপজেলার পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের ছাত্রী হিরা মনিকে (১৪) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এসময় প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আজ ১৩ জুন শনিবার সকাল ১১ টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষীপুর-রামগঞ্জ সড়কের পালেরহাটে বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। কর্মসূচি শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর পুলিশি বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
জানা গেছে, পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। হিরা মনি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে মানববন্ধন থেকে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বক্তারা।
এদিকে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ড. এএইচএম কামরুজ্জামান নিহত স্কুলছাত্রী হিরা মনির বাড়িতে যান। এসময় তিনি ছাত্রীর অসুস্থ মা-বাবা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
এসপি কামরুজ্জামান জানায়, অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক যুবক আরিফ ও সুমনকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ বিষয়ে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে আহবান জানায় এসপি। এছাড়া মানববন্ধনের বিষয়ে আগে পুলিশকে জানানো হয়নি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর স্হানীয় পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজমুল করিম টিপু ও স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থীসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের লোক।
নিহত হিরা মনির মা ফাতেমা বেগম জানান, তার মেয়েকে স্থানীয় চম্পকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র অয়ন উত্যক্ত করতো। মেয়েকে উত্যক্ত না করতে কয়েকবার তিনি অয়নকে বুঝিয়েছেন। কিন্তু সে শুনেনি। যারা তার মেয়েকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চান তিনি।
পালেরহাট পাবলিক হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি নাজমুল করিম টিপু বলেন, পুলিশের নির্দেশে আমরা মানববন্ধন স্থগিত করেছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে আল্টিমেটাম দিয়েছি। না হয় বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে । মানববন্ধনে উপস্হিত বক্তিরা এই জঘন্যতম ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবী করেন।
উল্লেখ্য, ১২ জুন শুক্রবার দুপুরে লক্ষীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্রী হিরা মনিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। সে একই গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে। ক্যান্সারে আক্রান্ত বাবাকে নিয়ে তার মা ও ছোট দুই ভাইবোন ঢাকায় হাসপাতালে ছিল। হিরামনিও শুক্রবার সকালে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে এসেছিল।