তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুর:
দরিদ্র কৃষক শুক্কর আহম্মেদ (৬৩)। অনেক কষ্ট করে স্থানীয় এক প্রতিবেশির কাছ থেকে দুই শতাংশ জমি কিনে ছিলেন তিনি। কিন্তু বিক্রেতা মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ও সন্তানদের কারনে গত ২১ বছরেও ওই জমি দখলে যেতে পারছিলেন না শুক্কুর মিয়া। শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ২০ লাখ টাকা মুল্যের ওই জমি দখলে নিয়ে বসতঘর তুলেছেন মৃত জমি বিক্রেতার ছেলেরা। ওই জমি ফেরত পেতে পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন শুক্কুর আহাম্মদসহ তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চরপাতা ইউপির সিঙ্গেরপুল নামক স্থানে রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে।
রোববার দুপুরে (১৮ এপ্রিল)-ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শুক্কর আহম্মেদ জানান, ২০০৫ সালে একই এলাকার প্রভাবশালী মরহুম লতিফ হাজির কাছ থেকে বিভিন্ন ধাপে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রায়পুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দুই শতাংশ জমি কিনেন (বর্তমান বাজার মুল্য ২০ লাখ টাকা)। চরপাতা মৌজা, জেআরনং-১৫ ও সনদ-২৮৩২। ২০১০ সালে ওই জমি লতিফ হাজির স্ত্রী রেজিষ্ট্রি দিলেও তা দখলে দিচ্ছে না। গত দেড় বছর আগে ওই জমি ফিরে পেতে প্রতিপক্ষ আলেফা বেগম,তার ছেলে জোবায়ের, আবদুল বাতেন ও মোঃ মানিককে আসামি করে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু তদন্তকারি কর্মকর্তা (এসআই) সুমন চৌধুরির কাছ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ দায়িত্ব নেয়ার পর তা আর মিমাংশা হয়নি। এরই মাঝে গত ১০ দিন আগে রাতের আঁধারে ওই জমিতে বসতঘর তুলে অন্যকে দখলে দেয় জোবায়ের গং।
আবারও ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যাক্তির কাছে গেলেও জমি দখলে নিতে পারছেন না।
এবিষয়ে অভিযুক্ত জোবায়ের ও আবদুল বাতেন বলেন, শুক্কর আহম্মেদের কাছ থেকে তাদের পিতা টাকা নিয়েছেন সঠিক। বাবা মারা যাওয়ার পরে তাদের মা দুই শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে। ওই জমি পুকুরে পড়েছে । তিনি অন্য জায়গায় নিবেন বলে হয়রানি করছেন। ওই জমিতে কারা বসতঘর তুলেছে তা আমরা জানিনা।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, বিষয়টি জানা নাই। কৃষক শুক্কুর আহাম্মেদ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর
০১৭১৮০৭৮৪৩৯
১৮/০৪/০২১