ভি বি রায় চৌধুরী-লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন মামলার পলাতকসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রায়পুর থানায় নতুন ওসি আব্দুল জলিল যোগদানের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা উন্নতির লক্ষ্যে ১০ জুলাই শুক্রবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে বিভিন্ন মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
থানা সূত্র জানায়, এসআই আলী আশরাফ জুয়েল ও এএসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে শহরের পৌর ৬ নং ওয়ার্ড কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
তারা হলেন- ওই এলাকার মৃত অলি আহাম্মদের পুত্র মো. ইকবাল হোসেন (৩৮) এবং জেলার সদর উপজেলার পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের তছলিমের পুত্র রবিউল ইসলাম (২৩)। তাদের কাছ থেকে ১৬ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে আরও ছয়টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চরবগা এলাকা থেকে ১০ লিটার চোলাই মদসহ মো. দুলাল (৩২), মো. আরিফ হোসেন (২৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৮) নামে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। তারা সকলে চরবগা গ্রামের আলাবক্স হাজী বাড়ির বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার এসআই আলী আশরাফ জুয়েল ও এএসআই আবুল কালাম আজাদ।
এছাড়া থানা পুলিশের অভিযানে জনি হোসেন (২৩) নামে এক পলাতক আসামী গ্রেফতার হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর দেনায়েতপুর গ্রামের মোরশেদ আলমের পুত্র। সুন্দরী বেগম প্রকাশ টুনির বোনজি (৩৫) নামে এজাহারভূক্ত আরেক পলাতক নারী আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুন্দরী বেগম উত্তর কেরোয়া গ্রামের আজম হোসেনের স্ত্রী।
এছাড়া বেসামাল অবস্থায় ঘুরাফেরা করার সময় পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের মধুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মো. জহির (৩১) নামে আরেক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের এএসআই আহসান মোরশেদ সংগীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে সিআর ২১৩/১৭ সংক্রান্তে এক বছর তিন মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রুবেল হোসেন টুটুলকে গ্রেফতার করে। সে উপজেলার শিবপুর গ্রামের জামাল হোসেনের পুত্র।
উপজেলার চরকাছিয়া গ্রাম থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, জয়নাল আবেদীন (২২), মো. রাজিব হোসেন (১৯), মো. বাবুল (২৭), কামাল হোসেন (২৬) ও রাজ্জাক গাজী (৩০)। জুয়া আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
রায়পুর থানায় সদ্য যোগ দেওয়া অফিসার ইন চার্জ (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল জলিল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।