বিশেষ প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৭ নং বামনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হুদা রেডক্রিসেন্ট এর ত্রাণ বিতরণের নামে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন অত্র ইউনিয়নের কয়েকজন ভুক্তি অর্থ প্রদানকারী।
সরজমিন ঘুরে এসে আমাদের এপ্রতিবেদক জানান,রেডক্রিসেন্টের ত্রাণ বিতরণের নাম দিয়ে এলাকার কিছু হতদরিদ্রের থেকে টাকা নিয়েও তিনি এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ বিতরণ করেননি।
ভুক্তভোগী দের বক্তব্যে আরো জানাযায় , শাছুল হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের বরাত দিয়ে জন প্রতি ১ হাজার টাকা করে নিয়েছেন এবং বলেছেন টাকা সংগ্রহ করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ তাকে বলেছেন।
অভিযুক্ত শামছুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণের নাম করে উঠানো টাকা আমি ছুঁয়েও দেখিনি। যদি কিছু নিয়ে থাকে তো তারাই নিয়েছে। এটা অনেক আগের বিষয়। রেড ক্রিসেন্টের লোকজন ত্রাণ বিতরণের নাম দিয়ে এ অর্থ সংগ্রহ করেছে। কত জনের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০ থেকে ২২ জন হবে। টাকাগুলো রেডক্রিসেন্ট নিয়ে গেছে।এলাকার প্রতিনিধি হিসাবে তাদের সাথে আমি যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা বলছে করোনাভাইরাসের কারণে এখন আসার সুযোগ নেই। আমি তাদের সাথে অনেকবার যোগাযোগ করেছি। সর্বশেষ তারা বলছে পরিস্থিতি ভালো হলে ত্রাণ বিতরণ করতে আসবে। আপনি টাকা না নিলে কেন আপনার নামে এতো প্রবাকান্ড ? উত্তরে তিনি বলেন, সামনে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসে একটা চক্র আমার পেছনে লেগেছে।
এই বিষয়ে ৭ নং বামনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি গতকাল ফেসবুকের মাধ্যমে ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক শামছু এর বিষয়ে শুনেছি এবং যতটুকুন জেনেছি তাতে এলাকায় সত্যতা মিলেছে। গণমাধ্যম কর্মীরা এসে নিশ্চিত হয়েছেন বলে চেয়ারম্যান জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন সাহেবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামুন সাহেব একটা কলেজের অধ্যক্ষ, তার বড় ভাই এই এলাকার এমপি ছিলেন, তাঁর বাবা আমৃত্যু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বিষয়ে এরকম রটানো মিথ্যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি এর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।