সংবাদ শিরোনামঃ
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসাবে মোহাম্মদ নুরজ্জামানের যোগদান লক্ষ্মীপুরে কর্মী ও জনবান্ধব নেতা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নুরউদ্দিন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আ’লীগ নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় ঘোষণা শ্রেষ্ঠ ওসি মোসলেহ্ উদ্দিন,শ্রেষ্ঠ টিআই সাজ্জাদ কবির বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কর্তৃক চট্রগ্রাম উত্তর জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন লক্ষ্মীপুরের উপশহর দালাল বাজারে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আবশ্যক, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকা বাসির দাবী লক্ষ্মীপুরের কৃতিসন্তান আনোয়ারুল হক ছলেমা খাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কামাল ফার্মারের ৫১ তম জন্মদিনে তিনি সকলের আশির্বাদ /দোয়া প্রার্থী পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের কবির হোসেন কে হুমকি ধমকি দেওয়ায় রুবেল পাটোয়ারী গং দের বিরুদ্ধে সাধারন ডায়রি লক্ষ্মীপুরে মোখার পরিস্থিতি অবলোকনে উপকূলীয় অঞ্চলে পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ লক্ষ্মীপুরে ডাবল মার্ডার মামলায় জিহাদীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সুপারের প্রেস  ব্রিফিং রামগঞ্জে বোনের বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই কারাগারে? রামগঞ্জে বোনের বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করায় ভাই কারাগারে? লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারে বিকাশ সরকার কে রক্তাক্ত জখম করার বিষয়ে সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নে ছোট ভাইয়ের বৌকে যৌন হয়রানি করার বিরুদ্ধে ভাসুর দীপনেরৃ প্রতিবাদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নে দীপন কর্তৃক প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রায়পুরে চরবংশী এলাকায় আলী আকবর হত্যা মামলার ৫জনের ফাঁসি ” ৩ জনের যাবজ্জীবন

রায়পুরে চরবংশী এলাকায় আলী আকবর হত্যা মামলার ৫জনের ফাঁসি ” ৩ জনের যাবজ্জীবন

ভিবি নিউজ ডেস্ক:
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন এলাকায় আলী আকবর নামক এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তিনজনকে এদিন খালাস দেয়া হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মামলার এজাহারভুক্ত (১-)নং)-আসামি মো. জসিম (৩০)
(২-নং)- সফিকুর রহমান (৪২)
(৩-নং)-মো তহির ওরফে পিচ্চি তহির (৩৫)
(৫-নং)-রুবেল হোসেন (২৮)
(৯-নং-)-নুর মিয়া ব্যাপারী @নূরা (৬৫)
————————————————————————————
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন-
মোঃ জুয়েল হোসেন-(৩০)-উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক।

মোঃ মোক্তার হোসেন-(৩২) ভিকটিমকে হত্যা করে দেশের বাহিরে বর্তমানে অবস্থান করছেন—– দুবাই ইন্টেলিজেন্স রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছে। অতিসত্বর ইন্টারপোলের মাধ্যমে এই এই আসামীকে দেশে এনে শাস্তির মুখোমুখি করার জন্য । এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ৩”টি মন্ত্রণালয় কাজ চলমান বলে জানা যায় ——-স্বরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানতে পেরেছি-!

ও রাহেলা বেগম!-(৩৮) জেলহাজতে রয়েছেন

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায় যে———

২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার সকাল ৭:৩০,ঘটিকার সময় উপজেলায় উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এলাকার স্টিল ব্রীজের দক্ষিণ পাশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলী আকবর কারি আমার বাবা (৮৫) কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল রড বাঁশের লাঠি দা, ছেনি , নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ নূর মিয়া ওরফে নূরা এবং ওছমান কবিরাজ ও মোশাররফ হোসেন ওরফে মুশু গং রা এবং তাদের পক্ষের লোকজন। নিহত আলী আকবর কারি চরবংশী গ্রামের মৃত আসাদ উল্যার কারির বড় ছেলে। এই ঘটনায় নিহতের পুত্র তহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এগারো জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুর থানায় ঐই দিন রাতে এই একটি হত্যা মামলা করেন। পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান পার্শ্ববর্তী হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ (বর্তমানে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেন স্যার-। প্রায় নয় মাস তদন্তের পরে ২০১৯ সনের ১ এপ্রিল তারিখে ১৪৩/৪৪৭/৩২৭/৩২৫/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলায় অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন কাছে এ মামলার রায় ঘোষণা করার পরে জানতে চাইলে তিনি আমাকে জানান যে, মামলার তদন্তের ভার আমার কাছে আসার পরে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরেজমিনে গিয়ে যথাযথ সাক্ষী প্রমাণ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করি।

এই দিকে
আসামি পক্ষের আইনজীবী জানান, এ রায়ে আমরা মর্মাহত হয়েছি, আশাকরি উচ্চ আদালতে গিয়ে আমরা সু-বিচার পাবো।

রায়ের পরে বাদীপক্ষের প্রতিক্রিয়া

এই মামলার বাদী ও তার ছোট ভাই মোঃ ইসমাইল কারি বলেন যে আদালতের রায়ে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট, খালাস পাওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে তাদের শাস্তির জন্য আবেদন করবো। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো বলেন, ১৯৯২ সনে আমার বড় ভাইকে খুন করার পরে হওয়া মামলায় আজকের দন্ডপ্রাপ্ত নুরু গং ও মোশাররফ হোসেন ওরফে মুশু গং দের যদি যথাযথ ভাবে শাস্তি দেওয়া হতো তাহলে আমার পিতাকে হারিয়ে আজ আমরা এতিম হয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরতাম না।