মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া এমরানের পাশে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ
- আপডেটের সময়
Wednesday, March 15, 2023
-
40 কতজন পড়েছেন
লক্ষ্মীপুর থেকে ভি বি রায় চৌধুরী – লক্ষ্মীপুরের কমলনগর নিবাসী হতদরিদ্র ভ্যান চালকের ছেলে মো: এমরান হোসেন। যিনি পরিবারের অভাবের মধ্যে থেকেও মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিছুটা অনিশ্চিতয়তার মধ্যে পড়েছিলেন তার মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে। এ অনিশ্চয়তা কাটাতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসন। বুধবার ১৫ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মো. এমরান হোসেনকে মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা সহয়তা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ
।এমরান লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের মিয়া পাড়া এলাকার ভ্যান চালক মো. ইউছুফ এর ছেলে। ইউছুফ একটি ডিস্ট্রিবিউটর কোম্পানির ভ্যান চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।এমরান মেডিকেলে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তির্ন হয়ে ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তিনি উপজেলার হাজির হাট সরকারি মিল্লাত একাডেমি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পেয়েছেন।হতদরিদ্র ভ্যান চালক মো. ইউছুফ এর ছেলে মো.এমরান হোসেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরেই মো. এমরান হোসেনের জন্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ।মো.এমরান হোসেন বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। ভর্তি বাবদ অনেক টাকার প্রয়োজন।এতো টাকা একসাথে জোগাড় করা আমার পরিবারের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য। মেডিকেলে ভর্তির জন্য ডিসি স্যার ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। খুব খুশি হয়েছি। ভর্তির টাকা নিয়ে সমস্যা থাকলো না। সবার কাছে দোয়া চাই,যেন লেখাপড়া শেষ করে ভালো মানুষ হতে পারি।মো.এমরান হোসেনের বাবা মো. ইউছুফ বলেন,স্যারকে কৃতজ্ঞতা দিয়ে শেষ করতে পারবো না। মেডিকেলে ভর্তিতে ছেলের অনেক টাকার দরকার ছিল। এখন আর কোন সমস্যা নেই। ছেলেটা আমার অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত আসছে। দোয়া করবেন বড় ডাক্তার হয়ে সে যেনো মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে।লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন,বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একটি যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান এমরান মেডিকেলে ভর্তির সুযোগে তাকে ভর্তির জন্য টাকা দিয়েছি।এটা আমাদের সেবামূলক কাজ। এছাড়া এমরানের মতো এমন যারা রয়েছে তাদের পাশেও লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন দাঁড়াবে।