মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট একজন নন্দলালের আকুতি

বিশেষ প্রতিনিধি-স্বাধীনতা যুদ্ধের পরেও এত অভাবে ভোগেননি বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জের পানের বরের শ্রমিক নন্দলাল দাস। জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত এত ত্রাণ কোথায় গেল?

আমি নন্দলাল দাস করোনা ভাইরাসে কর্মহীন হয়ে অভাব-অনটনে পড়ে শিলা বৃষ্টিতে ঝড়ে পড়া অন্যের বাগানের আম কুড়িয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাতারহাট বাজারে নিয়ে আসি কিন্তু এই দুর্ভাগা ব্যক্তিটি আমে শিলা থাকাতে গত দু’দিনে একটি আমও বিক্রি করতে পারিনি। মেহেন্দিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নন্দলাল দাস দুই সন্তানসহ তিন সদস্যের পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকারের কালো ছায়া। তিনি অভাবের দায়ে দুই সন্তানকে তার শশুর বাড়ি অর্থাৎ বাচ্চাদের মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, নন্দলাল দাসের পৈতৃক বাড়ি ১৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। প্রায় বিশ বছর আগে নদী ভাঙ্গার কারণে ঠাঁই মিলে লালমিয়ারহাট বাজারের লক্ষ্মী ডাক্তারের ফার্মেসীর পিছনে ছোট একটি ছাউনিতে। তিনি এখনও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভোটার। ত্রানের জন্য গোবিন্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন তালুকদারের কাছে একাধিকবার ধর্না ধরলেও ত্রান পাননি বলে জানান।
বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ হচ্ছে, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথের নির্বাচনী আসন। নন্দলাল দাস জাতীয় নির্বাচনে পঙ্কজ দেবনাথকেই নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু এখন ত্রাণ পাচ্ছেন না।
যাই হোক, পঙ্কজ দেবনাথ কিংবা আওয়ামী লীগের অন্য কোনো নেতার ত্রাণ নন্দলাল দাসের দরকার নাই।
বরিশাল জেলা কৃষকদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য সুজন শীল কে অনুরোধ জানাচ্ছি, আপনি যে ভাবেই হোক নন্দলাল দাসের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিন। তিনি গত দুই দিন যাবৎ অভুক্ত আছে শুনেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *